আসলে তুরস্ক একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের উন্নীত করতে চায়। একটি মাঝারি মাপের উদীয়মান শক্তি থেকে একুশ শতকের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলোর কাতারে তুরস্ককে যাতে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার লিগ্যাসি-কে সেভাবেই রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছেন
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন তুরস্কের নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বে নতুন একটি জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে তুরস্ক, ইরান, মালয়েশিয়া ও কাতারের উদ্যেগে অনুষ্টিত হয়েছিলো এক সম্মেলন। এই ফোরামের মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যু সামনে আনতে পারে পাকিস্তান। তুরস্ক ও কাতারের প্রচেষ্টায় মুসলিম বিশ্বের আরো অনেক দেশ তাতে যোগ দিতে পারে। এর ফলে সৌদি আরব আরো কোনঠাসা হয়ে পড়তে পারে
আসলে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকারের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থেই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে ফুটে উঠছে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরে এক নতুন আবাসন নীতি ঘোষণা করে দিল্লি সরকার, যাতে শয়তানি চেহারাটি স্পষ্ট হয়
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার হরনের পর কূটনৈতিকভাবে বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো এই আইনের সমালোচনা করেছে।
কাশ্মীরের ইতিহাস অনুশীলন করলে আমরা দেখি একসময় কাশ্মীর বলতে বোঝাত কেবল ঝিলম নদীর উত্তর পাশে অবস্থিত উপত্যকাকে। যা হলো দৈর্ঘ্যে ৮৫ মাইল ও প্রস্থে ২০ থেকে ২৫ মাইল। এখানে হিন্দু রাজারা রাজত্ব করতেন। খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে সোয়াত থেকে শাহ্ মির্জা অথবা মীর নামক জনৈক ব্যক্তি কাশ্মীরে যান হিন্দু রাজার কাছে চাকুরী করতে।
কাশ্মীর ভারতের অংশ নয় এটা নেহেরু-গান্ধীসহ ততকালীন কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও জানতেন ও মানতেন।কেন? কিন্তু অংশই বা করতে হয় কেমন করে? এটা সেই ১৮১৫ সালের রামমোহনের রেনেসাঁ থেকে একাল পর্যন্ত ভারতের কারই জানা হয় নাই। কমবেশি সকলেরই বেকুবি ধারণাটা হল, ব্যাপারটা বোধ হয় বলপ্রয়োগ করেই করার বিষয়।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নামে পরিচিত কাশ্মীরের এই বিশেষ মর্যাদায় কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারবেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পাবেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।