ফ্রান্সের সাবেক ঔপনেবিশিক দেশগুলোতে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্রান্স। এ অঞ্চলের জ্বালানী সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টা করতে চায় ফ্রান্স। আবার এসব দেশ এক সময় উসমানীয় শাসনের অধীনে ছিলো। স্বাভাবিকভাবে এসব দেশে আছে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। যা ফ্রান্স ও তুরস্ককে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে
১৯৩০ সালের পর ইসলামবিরোধী নানা আইন চালু করতে থাকে তুরস্ক। এর অংশ হিসেবে কামাল পাশা আমেরিকা থেকে আর্কিওলজিস্ট থমাস হোয়াইমোরকে নিয়ে আসেন। তিনি সুলতান ফাতিহ মোহাম্মদের চিত্রকর্মগুলো দেয়াল থেকে মিশিয়ে দিতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকলো বাইজেন্টাইনদের করা চিত্রকর্ম। এই অবস্থাতেও মুসলমানরা নামাজ পড়ছিলেন সেখানে। কিন্তু ১৯৩৩ সালের পর নামাজ পড়া একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন দেয়ালের ছবিগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো। আর ছবি সামনে নিয়ে নামাজ পড়া হারাম। এভাবেই মুসলমানদের সরিয়ে দেওয়া হয় আয়া সুফিয়া থেকে
কৌশলগত কারণে মিশর বেকায়দায় থাকলেও সিসির মতো সামরিক একনায়ক যে কোনো হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। সিসির হাতে তামাক খেতে মরিয়া হয়ে আছে আমিরাত ও সৌদি আরব। এরই মধ্যে আমিরাত ও সৌদির অর্থায়নে পরিচালিত গণমাধ্যমে সেরকম কিছু খবরও এসেছে
আরব বসন্তেরর পর মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে শুরু করলে উত্থান ঘটতে শুরু করে ইসলামপন্থীদের। মিশরে ক্ষমতায় আসে মুসলিম ব্রাদারহুড। তিউনিসিয়ায় ক্ষমতা পায় ব্রাদারহুডের সহযোগী আন নাহাদা পার্টি। পরে সৌদি ও আমিরাতের সমর্থনে মিশরে ক্ষমতা দখল করেন সিসি। এরপর থেকে আবার উল্টোধারায় বইতে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি
লিবিয়ার সঙ্গে তুরস্কের চুক্তির ফলে এই পাইপলাইন আটকে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে তুরস্ক। এখন ইসরাইল চাচ্ছে তুরস্কের সঙ্গে জোট বেধে পাইপলাইনে যুক্ত হতে। এজন্য তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্র্ক বাড়াতেও মরিয়া ইসরাইল। তুরস্ক চাচ্ছে কৃষ্ণ সাগর, এজিয়ান সাগর ও ভূমধ্যসাগরে উপস্থিতি জোরদার করতে
লেয়লা তুর্কি কন্যা। নিজের দেশের প্রতি আস্থা প্রবল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এই কঠিন সময়ে দেশের কাছে কিছু চাইবেন। দেশটির নেতা রজব তাইয়েব এরদোগানের সরকারের প্রতি তার বিশ্বাস গাঢ়। তিনি প্রবাসে থেকেই বাবার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন টুইটারে। এতে জানিয়েছেন, তার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুইডেনে ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমন কঠিন বিষয়ে নিজের দেশকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান
ইরান ও তুরস্কের মতো প্রভাবশালী দেশ রাশিয়ার মিত্র হওয়ার কারনে মধ্যপ্রাচ্যে দেশটি অপ্রতিদ্বন্দ্বি শক্তি হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। ফলে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নীতিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। যা আগামি দিনে আরো দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে। পুতিনের সৌদি আরব ও আরব আমিরাত সফরের মধ্যদিয়ে এ অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আসলে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব এ অঞ্চলে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি করছে।
বিশ্বের নৌ চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ন বসফরাস ও দার্দেনেলিস প্রনালীর ওপর তুরস্কের কর্তৃত্ব নৌ শক্তির ক্ষেত্রে দেশটির কৌশলগত শক্তি বহুগুন বাড়িয়েছে। ইস্তাম্বুল থেকে উসমানীয় শাসকরা ৭০০ বছর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো শাসন করেছে। এছাড়া পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর ওপর তুরস্কের রয়েছে বিশেষ দূর্বলতা। স্বাভাবিকভাবে এসব দেশের সাথে সর্ম্পকের ক্ষেত্রে তুরস্কের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে।
মুসলিম বিশে^র একমাত্র পরমানু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান চীনের ঘনিষ্ট মিত্র। দেশটির আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে অস্থিরতা থাকলেও চীনের সাথে সর্ম্পকে ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় একই রকম।
আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু-মিত্র বলে কিছু নেই। জাতীয় স্বার্থে নির্ভর করে অন্য দেশের সাথে বন্ধুত্বের সর্ম্পক। আজ যে দেশ বন্ধুর ভুমিকায় থাকে কাল সে দেশ হতে পারে শত্রু। এর বড় উদহারন তুরস্ক -রাশিয়া ঘনিষ্ট সর্ম্পক।