কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেও এখন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্ম্পকে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো পালন করতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। এই প্রথম পরস্পর বিরোধী দেশগুলো কাছাকাছি আসছে। এমনকি দশকের পর দশক ধরে ইরানের সাথে আরব দেশগুলোর যে বিরোধ তা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইরানের সাথে বিশ্বশক্তির পারমানবিক চুক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইল অবস্থান নিলেও আরব দেশগুলো অনেকটা নিরব। অপরদিকে ঘনিষ্ট হচ্ছে তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর ও কাতারের সাথে সর্ম্পক। সিরিয়ার সাথে আরব আমিরাত, কাতার ও তুরস্ক সর্ম্পক স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোর পরিবর্তিত সর্ম্পকের নানা দিক থাকছে মুনতাসীর মুনীরের প্রতিবেদনে।
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমফের সর্বশেষ তালিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় ২০তম অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। ইরানের...
হাবিবের ইস্তাম্বুলে পৌছানোর আগেই ওই নারী ভুয়া ইরানি পাসপোর্টে ইস্তাম্বুল পৌঁছান। হাবিব পৌঁছানোর পর তাকে অপহরণে জড়িত টিমের সদস্যরা ইস্তাম্বুলের একটি হার্ডওয়ারের দোকান থেকে প্লাস্টিকের রশি কেনেন। সেদিন সন্ধ্যায় হাবিব ইস্তাম্বুলে পৌছেই স্থানীয় একটি গ্যাস স্টেশনে যান ওই নারীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য। সেখানে একটি গাড়িতে অবস্থান করছিলেন ওই নারী
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানি কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, আরও কিছু বিষয়, যেমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, আঞ্চলিক রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু ফখরিযাদেহ হত্যাকান্ডটি সবকিছুকে জটিল করে দিল। মনে হয়েছিল, ইরানিরা আপসের টেবিলে খোলা মন নিয়ে বসবেন। কিন্তু সবকিছু ভেঙেচুরে গেল
পরমাণু ইস্যু নিয়ে রাশিয়ার সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। এ ব্যাপারে ইরানের অবস্থান নিয়ে রাশিয়াও সচেতন বলেই মনে হচ্ছে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন সরকারের একটি হুমকিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে রাশিয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে আমেরিকা? কিন্তু রাশিয়া এই হুমকি উড়িয়ে দিয়ে বলছে আমরা সামরিক-প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে ইরানের সাথে একযোগে কাজ করছি, করবো
আরবের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরাইলের আর্থিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক লেনদেন অনেকটা ওপেন সিক্রেট। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশ এবং ইসরাইলের এখন কমন শত্রু হলো ইরান। ইরান বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এসব দেশ পরষ্পর আদান প্রদান করে থাকে। ইরানকে মোকাবেলায় ইসরাইলের সাইবার টেকনোলজি ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে থাকে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ
তুরস্কের একজন পর্যবেক্ষক তাই বলেন, খালি চোখেই দেখা যায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া - এ দু' দেশের মধ্যে আর্মেনিয়ার সাথেই ইরানের সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ। এর কারণও আছে। যেমন, রাশিয়ার সাথে রয়েছে ইরানের রাজনৈতিক মৈত্রী। এ সংঘাতে রাশিয়া নিয়েছে আর্মেনিয়ার পক্ষ। অতএব এখানে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে যাওয়াটা অনেকটা রাশিয়ার বিপক্ষে যাওয়ার মতোই হয়ে যায়। ইরান এ ঝুঁকি নিতে চায় না
ইসরাইলের সাথে কথিত এ শান্তি চুক্তির একটি দিক হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরাইলের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ। যেহেতু উভয় দেশ ইরানের হুমকির মুখে স্বাভাবিকভাবে এ চুক্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে নিরাপত্তা এবং সামরিক বিষয়টি। এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সমদ্রু রুট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে
কেউ-কেউ অভিযোগ করে, সরাসরি না-হলেও পরোক্ষভাবে ইরানের তেল কিনছে চীন। কখনো তারা 'মালয়েশিয়ার তেল' লেবেল লাগিয়ে ইরানী তেল কিনছে, কখনো বা মাঝ-সমুদ্রে ইরানী অয়েল ট্যাংকার থেকে চীনা ট্যাংকারে তেল ভরা হচ্ছে। এভাবে চীন তার মোট চাহিদার দুই ভাগ তেল পাচ্ছে ইরানের কাছ থেকে। ইরানের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চীনের কাছে এই একটি সুযোগই যথেষ্ট, কিন্তু অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে ইরানের কাছে এটা যথেষ্ট নয়
ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধের প্রতিবাদে ইরান ২০১১ সালের ডিসেম্বরে হরমুজ প্রনালী দিয়ে জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ করার হুমকি দেয়। বাহরাইনে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌ বহর থেকে এ হুমকি প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ওমান সাগরে আসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান বাহী রনতরী। ইরান জানায় এ রনরতী হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করলে তারা বাধা দেবে
অল্প দিনের মধ্যেই তিনি হয়ে যান গাদ্দাফীর শীর্ষ মিলিটারি অফিসার। ১৯৮০র দশকে গাদ্দাফী তাকে দায়িত্ব দেন শাদ নামের প্রতিবেশী দেশটি দখলের। ওই অভিযান ব্যর্থ হয়। ১৯৮৭ সালে কয়েক শ' লিবিয়ান সৈন্যের সাথে শাদে বন্দী হন হাফতারও। বিস্ময়করভাবে গাদ্দাফী এ সময় হাফতার ও তার বাহিনীর কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে বলেন, এ অঞ্চলের কোথাও লিবিয়া কোনো সৈন্য পাঠায়নি। পরে মার্কিন হস্তক্ষেপে মুক্তি পান হাফতার
চাবাহার বন্দর নির্মাণে সমস্যা দেখা দেয় গত বছর। পরমাণু ইস্যুতে ইরানের অশোধিত তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে বহু দেশ ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়। ভারতও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মান্য করে। কেউ কেউ বলে, বরং একটু বেশিই মান্য করে
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন ইরানকে ঘিরে চীনের যে বিনিয়োগ পরিকল্পনা তাতে এশিয়ায় ভূকৌশলগত সর্ম্পকের চিত্র বদলে যাচ্ছে। যাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে যাচ্ছে ভারত। কারন চীনের আগ্রাসী বিনিয়োগ ও কূটনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ভারতকে কোনঠাসা করে ফেলছে। ভারতের বিশ্লেষকরা মনে করেন পাকিস্তান , শ্রীলংকা ও মিয়ানমারে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন
দুর্ভাগ্যজনক হলো, জিনিজয়াংয়ে চীনের বর্বরতা নিয়ে মুসলিম বিশ্ব শুধু নীরবতাই পালন করে না, অনেক ক্ষেত্রেই চীনকে জোরালো সমর্থন দেয়। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান চীনা সংখ্যালঘু বিষয়ক নীতির প্রশংসাও করেছেন৷ অন্য আরব দেশগুলোরও অবস্থান একই রকম। ইরান চীনা নীতির সমালোচনা করে না। ইরান থেকে তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীন, ইরানের তেল ও গ্যাস খাতেও চীন প্রচুর বিনিয়োগ করে। ইরানের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো প্রসারিত করছে দেশটি। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও সুগভীর
প্রফেসর মারান্দি জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যখন শুরু হলো, তখন আমেরিকা এমনকি চেষ্টা করেছিল যেন ইরান টেস্ট কিট যোগাড় করতে না-পারে। কিন্তু ইরান পেরেছে এবং সেটা বেসরকারিভাবে নয়, সরকারিভাবেই। তিনি বলেন, করোনাকালেও ইরান কিন্তু পুরোপুরি শাটডাউন করেনি। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। টেস্ট কিট, ফেস মাস্ক থেকে শুরু করে যা কিছু প্রয়োজন, সবই এখন উৎপাদন করছে ইরান। আমাদের হাসপাতালগুলোতে যান, কোনোটিই করোনা রোগীতে ভরপুর - এমনটি দেখবেন না
ইরানের ঘটনা বিষয়ে ইসরাইলে বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাবে ইসরাইলী কর্মকর্তারা অস্পস্ট কথাবার্তা বলছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গানটজ বলেন, সবাই সব সময় সবকিছুতে আমাদের সন্দেহ করে। কিন্তু আমি মনে করি এটা ঠিক নয়
তিউনিসিয়া ও মিশরে ক্ষমতাসীনদের পতনের পরপরই সেখানে জন্ম হয়েছে তিনটি অক্ষের। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছে সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরাত। এ অক্ষটি পুরোপুরি বিপ্লববিরোধী বা প্রতিবিপ্লবী। দ্বিতীয় অক্ষটি ইসলামী-সংস্কারপন্থী। এদের সমর্থন বিপ্লবের প্রতি এবং ইসলামী ব্রাদারহুড ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রতি। এ অক্ষের নেতৃত্বে আছে তুরস্ক ও কাতার। তৃতীয় অক্ষটি প্রতিরোধপন্থী। আমেরিকা ও ইসরাইলকে প্রতিরোধ করাই এদের ধ্যানজ্ঞান। এ অক্ষে আছে ইরান, সিরিয়া ও হেজবুল্লাহ
সৌদি আরব অনেক দিন ধরে বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। অনেকেরই প্রশ্ন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন আরব দেশ এত অস্ত্র কিনছে কেন। কার বিরুদ্ধে তারা ব্যবহার করবে এ অস্ত্র। কে তাদের শত্রু। এর একটিই উত্তর। মুসলিম দেশ হয়ে আরেকটি মুসলিম দেশ ইরানের মোকাবেলায় তারা প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে গড়ে তুলছে অস্ত্র মজুদের এ পাহাড়। ইরানভীতি মোকাবেলা ছাড়া তাদের এসব অস্ত্রের আর তেমন কোনো কার্যকারিতা নেই
পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ইরানের সাইবার হামলার ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় ইসরাইল। কেননা, এটি এমন এক নিরস্ত্র হামলা, যার শিকার হয়ে লাখ লাখ বেসামরিক মানুষের করুণ মৃত্যু ঘটতে পারতো। এ ধরনের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক না-থাকায় এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না-রাখায় ইসরাইলের ন্যাশনাল ওয়াটার কোম্পানি মেকোরৎ-কে তীব্র সমালোচনা হজম করতে হয়
ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই ইরান টিকে আছে। তবে অনেকে বলে থাকেন সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশের চরম বৈরিতা ও পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইরান একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতো
ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ধরনের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন দেশটির সক্ষমতার নতুন প্রমান হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের রেভুলশনারি গার্ড স্পেস ডিভিশন কমান্ডার জেনারেল আলি জাফরাবাদি বলেন, নতুন এ স্যাটেলাইট ইরানি আর্মিকে আইডেনটিফিকেশন, কমিউনিকেশন এবং নেভিগেশন মিশনের ক্ষেত্রে কৌশলগত সহায়তা করবে
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ল-ভ- করে দিচ্ছে বিশ্বকে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় এক লাখ লোক। করোনার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জীবনযাত্রা। থমকে গেছে মানবসভ্যতা। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোও অদৃশ্য এই ভাইরাসের কাছে চরম অসহায় হয়ে পড়েছে।
দুনিয়াব্যাপী এমন প্যানিক বায়িং বা হুজুগে কেনাকাটার মধ্যে ব্যতিক্রম কেবল একটি দেশ - ইরান। এমনিতে আজ বহু বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপে পড়ে দেশটি পিষ্ট প্রায়। আর ওপর করোনার মূলভূমি চীনের বাইরে যে দু'টি দেশ করোনায় সবচাইতে বেশি আক্রান্ত, তার একটি হলো ইরান। অপরটি হলো ইতালি।
সিরিয়ার ইদলিবের নিয়ন্ত্রন নিয়ে ভূরাজনৈতিক জটিলতা নতুন রুপ নিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বেশ চাপের মুখে পড়েছেন। ইদলিবে কার্যত তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ চলছে। সমাঝোতা না হলে এই ছায়া যুদ্ধ মুখোমুখি রুপ নিতে পারে। ফলে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ন্যাটো। একই সাথে এরদোয়ানের ক্ষমতার ভিত্তি ধ্বসে পড়তে পারে।
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে অনৈক্য রেষারেষি ও হানাহানির ইতিহাস বহু পুরনো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা যে কী ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে, তা তো ইয়েমেন ও সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। একদা সমৃদ্ধ ইরাক ও লিবিয়া আজ প্রায় অকার্যকর দেশ। ইরান ও কাতার প্রায়-একঘরে। এবার কি শনির দৃষ্টি পড়েছে তুরস্কের ওপর?