ভারতের নাকের ডগায় চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর

যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত এ প্রকল্পের সমালোচনা করে একে চীনা ঋণের ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অনেকের অভিযোগ চীন পাকিস্তানকে ঋণের জালে আটকাচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে - বেল্ট অ্যান্ড রোড ডটনিউজ

  • মেহেদী হাসান
  • ২৭ জুন ২০২০, ২৩:১২

চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর বা সিপিইসি হলো অনেকগুলো অবকাঠামো প্রকল্পের সমন্বয়। এ প্রকল্পের অধীনে সমগ্র পাকিস্তানজুড়ে নির্মান করা হচ্ছে ব্যাপকভিত্তিক অবাকঠামো । পাকিস্তানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ হলো এই প্রকল্প। অপর দিকে চীনও আজ পর্যন্ত পাকিস্তান ছাড়া অপর কোনো দেশে এত বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেনি। এই প্রকল্পের রয়েছে ভূকৌশলগত গুরুত্ব।

চায়না - পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের আওতায় ব্যাপকভিত্তিক রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আর গোয়াদর বন্দর, গোয়াদর সিটি অবকাঠামো নির্মান করা হচ্ছে। সিপিইসি বাস্তবায়নে পাল্টে যাবে পাকিস্তানের বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ খাত, জরাজীর্ণ রেল, সড়কসহ গোটা পরিবহন খাতের চেহারা। সিপিইসি বাস্তবায়ন শেষে এশিয়ায় পাকিস্তান অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে বরে আশা করা হয়। এ প্রকল্পের ফলে ইতোমধ্যে পাকিস্তান মুক্তি পেয়েছে বিদ্যুৎ খাতের ভয়াবহ দুরবস্থা থেকে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় লাইনে যুক্ত হয়েছে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ । একই সাথে সিপিইসি চীন-পাকিস্তান পারষ্পরিক নির্ভরতা ও বন্ধুত্ব নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে।

অপর দিকে চীনের জন্য এ প্রকল্প বয়ে এনেছে সম্ভাবনার নতুন দুযায়। গোটা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা আর ইউরোপের সাথে চীনা বাণিজ্যের নতুন প্রবেশ দ্বার এখন পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর। চীনের জন্য সমুদ্র পথের বিকল্প রুট এখন এই বন্দর।

চীন মধ্যপ্রাচ্যের ৮০ ভাগ জ্বালানি তেল পরিবহন করে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে সংঘাতে যদি মালাক্কা প্রনালী চীনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গোয়াদর বন্দর হবে সহজ এবং দ্রুত একটি বিকল্প রুট । একই সাথে এ অঞ্চলে চীনের সামরিক আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে সিপিইসি। এরমধ্য দিয়ে চীনের স্থল বেষ্টিত পশ্চিম অঞ্চল যুক্ত হতে পারছে আন্তর্জাতিক বানিজ্য রুটের সাথে।
চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের মূল ভিত্তি হলো চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত উদ্বিগ্ন সিপিইসি নিয়ে। ভারতের অনেকের মতে সিপিইসি শুধু চীন- পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নয় বরং কৌশলগতভাবে ভারতকে ঘেরাও পরিকল্পনার অংশ। চায়না- পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর প্রকল্পের অবস্থান হচ্ছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খোয়া, গিলগিট-বাল্টিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধ এবং আজাদ কাশ্মির হয়ে চীনের জিনজিয়াং।

২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়েছে সিপিইসি প্রকল্প। সিপিইসির অধীনে রেল, সড়ক, জ্বালানি, বিদ্যুত ছাড়া অনেকগুলো বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সিপিইসি। ২০১৬ সালে সিপিইসির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালে দ্বিতীয় এবং ২০৩০ সালে তৃতীয় ধাপ বা দীর্ঘ মেয়াদী ধাপ শেষ হবে। আসুন আমরা জেনে নেই এই প্রকল্পের আরো কিছু দিক

২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আংশিক চালু হয় এ প্রকল্প। এদিন চীন থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে স্থল পথে পরিবহন করা হয় চীনা পন্য। এরপর গোয়াদর বন্দর থেকে তা নিয়ে যাওয়া হয় আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ায়। ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর চীনের মালবাহী ট্রেন প্রথম প্রবেশ করে পাকিস্তানে সিপিইসি প্রকল্পের অধীনে। এ ট্রেন ছেড়ে আসে ইউনান থেকে। এসময় আরেকটি ট্রেন চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংজু পৌছে। এরপর সেখান থেকে পন্য জাহাজে পৌছানো হয় করাচি বন্দরে। এটি আরেকটি নতুন রেল ও সমুদ্র নেটওয়ার্ক সিপিইসির অধীনে।

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক এ প্রকল্পকে তুলনা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল প্লানের সাথে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত ইউরোপের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে মার্শাল প্লান গ্রহণ করে বিপুল আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে। সিপিইসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ২৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এর এ প্রকল্প প্রতি বছর দেশটির জিডিপি বৃদ্ধি করবে আড়াই শতাংশ হারে।

সিপিইসির অধীনে সবার আগে গুরুত্ব দেয়া হয় পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতে এবং গোয়াদর বন্দর সম্প্রসারন ও আধুনিকায়ন। ইতোমধ্যে এসব অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। সিপিইসির অধীনে বিদ্যুৎ উপৎপাদনের জন্য পাকিস্তানে স্থাপন করা হয় বিশ্বের অণ্যতম বড় একটি সোলার ফার্ম। পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে স্থাপন করা হয় এ সোলার ফার্ম। মোহাম্মদ আলী জিন্নার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।

চীনের জন্য এ প্রকল্প বয়ে এনেছে সম্ভাবনার নতুন দুযায়
চীনের জন্য এ প্রকল্প বয়ে এনেছে সম্ভাবনার নতুন দুযায়

 

যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত এ প্রকল্পের সমালোচনা করে একে চীনা ঋণের ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অনেকের অভিযোগ চীন পাকিস্তানকে ঋণের জালে আটকাচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

২০১৭ সালে পাকিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে করেছে ২০২০ সালের পর থেকে পরবর্তী ৩০ বছরে পাকিস্তাননে মোট ৯০ বিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে চীনকে সিপিইসি বাস্তবায়নের জন্য। তবে পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা এ প্রকল্পের বিষয়ে আশাবাদী। কারণ সিপিইসির ফলে ইতোমধ্যে পাল্টে গেছে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতের দুরবস্থা।

সিপিইসির অধীনে বিশাল সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে পাকিস্তানে। বর্তমানে পাকিস্তানের বেহাল সড়ক আর রেল নেটয়ার্কের চেহারা পাল্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আধুনিক পরিবহন নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের উত্তর অংশকে যুক্ত করবে গোয়াদর বন্দর এবং করাচি শহরকে। একই সাথে চীনের পশ্চিম অঞ্চল এবং মধ্য এশিয়ার সাথে পাকিস্তানের শক্তিশালী পরিবহন নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের রেল লাইন সম্প্রসারিত করা হবে জিনজিয়ং এর কাশগর পর্যন্ত।

সিপিইসির অধীনে করাচি এবং লাহোরের মধ্যে তৈরি হবে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মটরওয়ে। এ প্রকল্পের অধীনে কারাকোরাম হাইওয়ে পাঞ্জাবের হাসান আবদাল থেকে চীন সীমান্ত পর্যন্ত পুননির্মান ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া আধুনিকায়ন করা হয়েছে করাচি-পেসওয়ার রেল লাইন এবং এ পথে এখন ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করছে।

সিপিইসির অধীনে পরিবহন নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারনের পেছনে ব্যয় হবে ১১ বিলিয়ন ডলার। এজন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে ঋন সহায়তা। আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হবে গোয়াদর টু নওয়াবশাহ গ্যাস এবং তেল পাইপ লাইন। ইরান থেকে আনা গ্যাস সরবরাহ করা হবে এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে।

সিপিইসির ২০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ করা হবে ঋনের মাধ্যমে। বাকী ৮০ শতাংশ চীন -পাকিস্তান সরকার যৌথভাবে অর্থায়ন করবে। এ প্রকল্পে ৪০ হাজার পাকিস্তানী এবং ৮০ হাজার চীনা কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। সিপিইসির অধীনে স্থাপন করা বিভিন্ন সড়ক ও ব্রিজের ট্যাক্স টোল বাবদ প্রতি বছর আয় হবে ৬ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার।

চীন সরকার ছাড়াও চীনের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সিপিইসির অধীনে ব্যাপকভিত্তিক বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ফলে সিপিইসির অধীনে পাকিস্তানে বেড়েছে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ।

গোয়াদর বন্দরে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে গোয়াদর সিটি। এখানে চীনা অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সিপিইসির অধীনে নতুন করে নির্মান করা হবে পাকিস্তানের সবচেয়ে ব্যস্ত করাচি পেশওয়ার রেল লাইন।

সিপিইসির মাধ্যমে চীন বর্তমানে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সড়ক ও রেল পথে গোয়াদর বন্দর হয়ে সরাসরি পৌছতে পারছে আরব সাগরে। সিপিইসি প্রকল্পে চীনের অর্জন বিকল্প জ্বালানী সরাবরাহ রুট লাভ করা। চীন বিশ্বের প্রধান জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী আর আমদানিকারক দেশ। ফলে জ্বালানি আমদানি, মজুদ আর জ্বালানি নিরাপত্তা চীনের জন্য সবচেযে বেশি অপরিহার্য।

মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালনির ৮০ ভাগ চীন বহন করে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। মালাক্কা প্রণালী দিয়ে এ তেল পরিবহনে চীনকে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের টহল জাহাজের মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে বর্তমানে -ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সাথেও চীনের বিরোধ চলছে।

চীনের আশঙ্কা ভবিষ্যতে যে কোনো সময় চীনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে মালাক্কা প্রণালী। আর এতে অচল হয়ে পড়বে চীনের অর্থনীতির চাকা। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেল পরিবহনের বিকল্প রুট গোয়াদর বন্দর। তা ছাড়া এ অঞ্চলে ভারতের মোকাবেলায় সামরিক আধিপত্যের ক্ষেত্রেও গোয়াদর বন্দর চীনের জন্য বিরাট বড় কৌশলগত সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

সমুদ্র পথে জ্বালানি তেল পরিবহনে চীনের যে খরচ এবং সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম খরচে এবং কম সময়ে ম্যধপ্রাচ্যের জ্বালানি তেল চীন গোয়াদর বন্দর থেকে রেল ও সড়ক পথে চীনে পরিবহন করতে পারবে। বর্তমানে চীনের জ্বালানি পরিবহনের সমুদ্র রুটের পরিমান ১২ হাজার কিলোমিটার। আর গোয়াদর বন্দর থেকে চীনের জিনজিয়াং এর দূরত্ব মাত্র ২ হাজার কিলোমিটার।

ফলে মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ইউরোপের সাথে চীনের বানিজ্যের নতুন প্রবেশ দ্বারা পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর। একই সাথে স্থলবেষ্টিত চীনের পশ্চিম অঞ্চলের সাথে আন্তর্জাতিক বানিজ্য রুট প্রতিষ্ঠা হবে সিপিইসির মাধ্যমে। পশ্চিম চীনসহ চীনের বিশাল ভূখন্ড স্থলবেষ্টিত হওয়ার কারনে প্রাচীন কাল থেকে চীনের মূল বানিজ্য সমুদ্র পথে। ফলে বঞ্চিত চীনের পশ্চিম অঞ্চল। সিপিইসির ফলে চীনের পঞ্চিম অঞ্চলের সাথে স্থল পথে আন্তর্জাতিক বানিজ্য বৃদ্ধি গোটা চীনের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

চীন গোয়াদর বন্দরের মাধ্যমে পৌছতে পারছে আরব সাগরে। অপর দিকে মায়ানমারের মধ্য দিয়ে চীন বর্তমানে পৌছতে পারছে ভারত মহাসাগরে। নতুন এসব রুট এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সিপিইসি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। সিপিইসির অংশ কারাকোরাম হাইওয়ে পকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের গিলগিট বাল্টিস্তানের মধ্য দিয়ে। ভারত গিলগিট বাল্টিস্তানকেও নিজের দাবি করে। চীনের কাছে ভারত আপত্তি জানিয়েছে গিলগিট বাল্টিস্তানকে সিপিইসি প্রকল্পের মধ্যে না রাখতে। কিন্তু চীন ভারতের এমন আপত্তি আমলে নেয়নি। ভারতের অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মনে করেন সিপিইসি শুধুমাত্র চীন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রকল্প নয় বরং কৌশলগতভাবে দুই দেশ মিলে ভারতকে ঘেরাও পরিকল্পনার অংশ।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে