লাদাখ নিয়ে কেন এতো লড়াই

চীন সীমান্তের দিকে যাচ্ছে ভারতের মিলিটারি কনভয় - রয়টার্স

  • শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
  • ২২ জুন ২০২০, ২০:০৮

সুন্দরের জন্য কাশ্মিরের সুনাম দুনিয়াজুড়ে। জম্মু ও কাশ্মির এলাকায় আগে ছিলো দুইরকম সুন্দর। একটি ‘সবুজসুন্দর’। অন্যটি ‘সাদাসুন্দর’। জম্মু ও কাশ্মিরকে বলা হতো ‘সবুজসুন্দর’। আর সাদা বরফে ঢাকা লাদাখকে ডাকা হতো ‘সাদাসুন্দর’। ভারত সরকারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর এখন ‘সাদাসুন্দর’ আলাদা।

লাদাখ এখন জম্মু ও কাশ্মিরের সঙ্গে নেই। এটি কেন্দ্রশাসিত ভিন্ন অঞ্চল। কাশ্মিরের উত্তর এবং পূবদিকে চীন। পশ্চিমে পাকিস্তান। আর চীন সীমান্ত ঘেঁষে লাদাখ। ওই এলাকাটা একটা সময় তিব্বতের অংশ ছিলো। এখনো তিব্বতের সংস্কৃতির সবটাই আছে ওখানে। তাই লাদাখকে ডাকা হয় ‘ছোট তিব্বত’।

লাদাখ সাগরের পিঠ থেকে ১১ হাজার ৫৬২ ফুট উঁচুতে। গোটা এলাকাটা একরকম বরফমরু। গরমের মৌসুমে কিছু এলাকার বরফ গলে বের হয়ে আসে ঝুরঝুরে পাথর। আবার শীতে ঢেকে যায়। এই সাদা স্বর্গ এলাকার বড় শহরের নাম ‘লেহ’। অন্য শহর কার্গিল। এই দুটোই জেলাশহর। দুই জেলা নিয়েই লাদাখ। স্থানীয় ভাষার শব্দ ‘লাদাখ’ অর্থ ‘গিরিপথের ভ’মি’। এই ভ’মির ভাঁজে ভাঁজে প্রকৃতি ঢেলে রাখা আছে। প্রাণের সজিবতা খুব নেই। তবে মানুষ আছে, কিন্তু কম। আছে বরফপাহাড়ের কিছু প্রাণী। যেগুলো লাদাখকে করে তুলেছে আরো সুন্দর। এইসব সুন্দর দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসে পর্যটক। গরমের মৌসুমে দুঃসাহসিক পর্যটকদের প্রিয় এলাকা হয়ে উঠে লাদাখ। হিমালয় থেকে নেমে আসা সিন্ধু নদ এবং এর খরস্রোতে পর্যটকদের সাহসের পরীক্ষা নেয়। কেউ কেউ খরস্রোতে ভেলায় ভেসে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নেন।

লাদাখে আছে অনেক বৌদ্ধ মন্দির। ওসবে রাখা আছে প্রাচীন তিব্বতি পুঁথি আর দুর্লভ সব সংগ্রহ। খৃস্টিয় প্রথম শতাব্দী থেকেই সিন্ধু উপত্যকার এই এলাকা বাণিজ্যের জন্য পরিচিত। ভারত ও চীনের যুক্ত হওয়ার সড়ক ‘সিল্ক রোড’ এর প্রাণকেন্দ্র এই নগর।

সমতলের কেউ লেহ শহরে গেলে শুরুর দিকে বৈরি প্রকৃতির মুখোমুখি হতে হয়। সমতল থেকে অনেক উঁচু এই শহরে অক্সিজেনের অভাব আছে। তাই বিমান থেকে নামার পরই বাইরের পর্যটকদের মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এ কারণে পরামর্শ দেওয়া হয়, লাদাখ যাওয়ার পর প্রথম দুইদিন হোটেলে বা হোমস্টেতে থেকে অভ্যস্ত হয়ে নেওয়ার। একবার মানিয়ে নিলে খুব সমস্যা হয় না।

লেহ শহরের বিমানবন্দরে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে গরমের মৌসুমেই। শীতের সময় ওই এলাকায় দেখার মতো কিছুই নেই। তখন বাইরের কোনো লোককে ওখানে জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করতে হয়, ঘুরে ভূস্বর্গ দেখা তো দূরের কথা।

লাদাখ যাওয়ার বড় একটি আকর্ষণ প্যাংগং হ্রদ। তবে এটা দেখার ভাগ্য সবার হয় না। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের তো নয়ই। চীন সীমান্তে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এই হ্রদ। কড়া নিরাপত্তার দেয়াল পেরিয়ে যেতে হয়। যেসব ভারতীয়রা আগে থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন, তাদেরকেই যেতে দেওয়া হয়। যারা যেতে পারেন, তাদের জন্য ওখানে আছে থাকার ব্যবস্থা। আবার কেউ চাইলে তাঁবুও গাঁড়তে পারেন।

প্যাংগং হ্রদ
প্যাংগং হ্রদ

 

এক রাত কাটিয়ে ফিরে আসতে পারেন লেহ শহরে। সেখান থেকে যেতে পারেন রহস্যময় চুম্বক পাহাড়ে। এর জন্য লেহ থেকে কারগিলের দিকে ৩০ কিলোমিটার এগুতে হবে। এই পথে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখলেও গাড়ি এগিয়ে যায়। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে আছে নানা গল্পকথা।

লাদাখের বিপজ্জনক এলাকা গালওয়ান উপত্যকা। যেমন ঠান্ডা, তেমন গিরুসঙ্কুল। মোটকথা আবহাওয়া ও ভূমির গঠন প্রচন্ড বৈরি। জায়গাটা লাদাখের পশ্চিম অংশে। এর পর আকসাই চীন। ওই এলাকাটা শাসন করছে চীন। ভূকৌশলগত দিক থেকে এই বৈরি উপত্যকার গুরুত্ব পারমানবিক শক্তিধর দুই দেশের কাছেই রয়েছে। এই ভূমিকে কেন্দ্র করে লড়াই করছে ভারত ও চীন। তবে মূল লড়াইয়ের আগে দুই দেশের সেনাদেরই লড়তে হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে।

গালওয়ান উপত্যকাটি দুর্গম। সর্বশেষ চীন-ভারতের সেনাদের লড়াইয়ে ওই গিরিখাতে পড়ে বেশিরভাগ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমধ্যম। এছাড়া পাহাড়ের চূড়ায় অক্সিজেনের পরিমান কম। এ কারণে সংঘাতের জন্য এলাকাটা উপযুক্ত নয়। তারপরও সংঘাত এখানের বাস্তবতা।

লাদাঘের উত্তরে কুনলুন পর্বতশ্রেণি, দক্ষিণে হিমালয়। এই দুই নিয়ে ভালোই ছিলো প্রাচীন ভ’মি। নব্য প্রস্তুর যুগেও এখানে বসতি ছিলো। তখনকার পরিব্রাজকরা লিখে গেছেন তুষারপাতের সেই উপত্যকার কথা। অষ্টম শতাব্দীতে লাদাখে পশ্চিম দিক থেকে তিব্বতের ও মধ্য এশিয়া থেকে চীনের আধিপত্য শুরু হয়। তিব্বত ও চীনের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় লাদাখের রাজনীতি। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারত উপমহাদেশে ইসলামের জোয়ার আসে। তখন এই এলাকার কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করে। সেই সময়টায় লাদাখে ছিলো রাজাদের শাসন। নামগ্যাল রাজবংশের ছিলো প্রতাপ। ১৮৪১ সালে এই বংশের পতন হয়। পরে অঞ্চলটি যায় বৃটিশ প্রভাবে। তখনই কাশ্মিরের সঙ্গে দেওয়া হয় লাদাখকে।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে তখনকার কাশ্মিরের ডোগরা শাসক হরি সিং লাদাখসহ কাশ্মিরকে ভারতের কাছে তুলে দেন। এর পর থেকে কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিবাদ লেগেই আছে। এই বিবাদের অংশীদার চীনও। তিব্বতের সাথে লাদাখ নিয়ে পুরনো বিবাদের ইতিহাস ভুলেনি চীন। সেই ইতিহাসের সূত্র ধরে তিব্বত দখলের পর লাদাখে আগ্রহ বাড়ে দেশটির।

নুবরা উপত্যকা-ইন্টারনেট
নুবরা উপত্যকা-ইন্টারনেট

 

১৮৩৪ সালে ডোগরা আক্রমণের আগ পর্যন্ত লাদাখ ছিলো স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়েছিলো তিব্বত।

ভারতীয়রা বৃটিশদের তৈরি করা মানচিত্র দেখিয়ে দাবি করছ ওই এলাকা তাদের। আর চীনাদের যুক্তি ওই এলাকার সীমানা কখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে সংস্কৃতির ইতিহাস দেখলে লাদাখ চীনের অংশ। ভারতের পেছনে আছে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের উত্তরাধিকারের দাবি। আর চীনের পক্ষে আছে তিব্বতের ওপর চীনের সাম্রাজ্যবাদের সূত্র।

১৯৫০ সালে চীন তিব্বত দখল করে। তিব্বতের নেতা দালাই লামা পালিয়ে ভারতে যান। তখন ভারতের ওপর ক্ষোভ আরও বাড়ে চীনের। সেইসঙ্গে লাদাখের একটা বিহীত করার দাবিও জানিয়ে আসছে দেশটি। এর পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে বিবাদ লেগে আছে দেশ দু’টির। পাল্পাপাল্টি অভিযোগ করা হচ্ছে সীমানা লংঘনের। এই অভিযোগ তিন হাজার ৪৪০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমানা নিয়ে।

পারমানবিক শক্তিধর দেশ দু’টির সীমান্তবিরোধ না মিটলেও ৪০ বছর ধরে কোনো পক্ষকেই গুলি চালাতে দেখা যায়নি লাদাখে। শেষবার ১৯৭৫ সালে ৪ ভারতীয় টহলসেনার মৃত্যু হয়েছিলো।

অমীমাংসিত সীমানায় হত্যা বন্ধ করতে ১৯৯৬ সালে চীন ও ভারত একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তিতে বলা হয়, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো পক্ষই গুলি ছুঁড়তে পারবে না। গুলি বা বিস্ফোরক নিয়ে কোনো অপারেশন বা শিকারেও যেতে পারবে না।

সেই থেকে সত্যিই গুলির ব্যবহার হয়নি। তবে এবার যা হয়েছে তা অবাক করে দিয়েছে বিশ্বকে।

ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দালাখ নিয়ে এক বিন্দুও ছাড় দিতে রাজি নয় কোনো পক্ষ। এই উঁচু এলাকাটি তিনটি দেশের জাতীয় সুরক্ষার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কেবল ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ নয়, প্রাচীন কাল থেকেই ‘লাদাখ সিল্ক রোড’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিলো। এখানে যুক্ত হয়েছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

তাই দুর্গম হলেও যোগাযোগ ও রাজনীতিতে এই ‘সাদাসুন্দর’ এলাকাটি এখন হটস্পট। এর বরফের নিচে চুপিসারে চীন, ভারত ও পাকিস্তানের আগুন জ্বলছিলো। তবে জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখের স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেওয়ার পর বরফের নিচে লুকিয়ে থাকা আগুন লকলক করে জ্বলে উঠে।

ভারতের স্বায়ত্বশাসিত এলাকা ছিলো জম্মু ও কাশ্মির। কিন্তু গত বছর দেশটির পার্লামেন্টে মোদি সরকারের বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্তের কারণে অঞ্চলটি চলে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। সেইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মিরকে করা হয় দুই ভাগ। জম্মু এবং কাশ্মির নিয়ে একটি অঞ্চল। আর লাদাখ আলাদা অঞ্চল।

ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর কাশ্মির জ্বলতে থাকে। লাদাখে কিছু লোক একে স্বাগত জানালেও এর বরফে জ্বলে উঠে চীনের ক্রোধ। কাশ্মিরে চলতে থাকে স্বাধীনতার দাবি নিয়ে লড়াই। এই লড়াইয়ের শক্তি যোগায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভূখন্ডটি। বর্তমানে কাশ্মিরের একটি অংশ ‘আজাদ কাশ্মির’ দেখভাল করছে পাকিস্তান। তারা মনে করে বাকি অংশটাও ভারতের অংশ নয়। এই ‘ইস্যু’ নিয়ে নিয়মিতভাবে পাক-ভারত উত্তেজনা লেগেই থাকে।
অন্যদিকে লাদাখের একটি অংশের প্রতি দাবি আছে চীনের। দেশটি মনে করে গালওয়ান উপত্যকাসহ বেশ কিছু এলাকা তাদের, বৃটিশদের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে একে ভারতের মানচিত্রর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

লাদাখকে নিয়ে ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সীমান্তঝুঁকিতে পড়ে চীন। ক্রমেই ভারতের প্রতি তাদের অবিশ্বাস বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে ‘আজাদ কাশ্মির’ নিয়ে ভারতের মতলব আঁচ করতে পারে পাকিস্তান। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক দরবারিদের কাছে নালিশ জানাতে শুরু করে দেশটি। জম্মু ও কাশ্মিরে চলতে থাকা বিক্ষোভের চিত্রও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

একদিকে পাকিস্তানের শঙ্কা, অন্যদিকে চীনের দাবির বিপরীতে ভারতের জোড়ালো পদক্ষেপে অস্থির হয়ে উঠতে থাকে উপত্যকা। চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘আকসাই চীন’কেও নতুন করে চেয়ে বসে ভারত। একসময় এলাকাটি লাদাখের অংশ ছিলো। ১৯৬২ সালে যুদ্ধের পর চলে যায় চীনের নিয়ন্ত্রণে। তারা বলছে ‘আকসাই চীন’ জিংজিয়াং প্রদেশের অংশ।

ভারতের জন্য আরো একটি উদ্বেগ সামনে আসে ১৯৬৩ সালে। পাক-চীন বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ওই বছর চীনকে ওই এলাকার ৯৯০০ কিলোমিটার ভ’মি তুলে দেয় পাকিস্তান। ১৯৭৮ সালে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় স্থলযোগাযোগ। খুলে দেওয়া হয় কারাকোরাম হাইওয়ে। ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ নামে পরিচিত এই সড়কটি জিংজিয়াং এর কাশগড় থেকে শুরু হয়ে কারাকোরাম পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছে। শেষ হয়েছে বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের গ্বাদর বন্দরে। এই করিডোর চালু হওয়ায় ভারতের জন্য নতুন করে দেখা দেয় শঙ্কা।

তবে এই শঙ্কাকে ভীতিকর পরিস্থিতিতে নিয়ে যায় মোদি সরকারে গোয়ার্তুমি। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাদাখে একটি শক্তিশালী সুরক্ষা প্রতিষ্ঠা করতে চান নরেন্দ্র মোদি। তিনি সীমান্তের কাছাকাছি তৈরি করতে থাকেন নানা স্থাপনা। ২০১৯ সালে গালওয়ান উপত্যকার কাছাকাছি একটি সড়ক তৈরি করে ভারত। এতে চীনের সন্দেহ আরো ঘন হয়। ওই এলাকায় সেনাসমাবেশ করতে থাকে দেশটি। বিপরীতে নিজেদের মতো পদক্ষেপ নেয় ভারত। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ।
আপাতত দুই দেশের সেনাদের ধস্তাধস্তির লড়াই চলছে। অস্ত্র হিসেবে যোগ হয়েছে কাঁটাওয়ালা রড।

প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে