ভুল আশা করে বসে আছেন মোদি

মোদি একটা ভুল আশা করে বসে আছেন যে, চলমান মহামারির পর ভারত তার অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে দ্রূত ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে পারবে। তার বিশ্বাস, মহামারি-পরবর্তী বিশ্ব একটি পরিবর্তিত বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন দেখতে পাবে - ইন্টারনেট

  • হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী
  • ২১ জুন ২০২০, ২৩:৩৫

লাদাখে চীন ও ভারত এতদিন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল, সংঘাতে জড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু ১৫ জুন বুঝি আর পারলো না তারা। এবার প্রত্যক্ষ সংঘাত। ফলাফল : বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা এবং অল্পকিছু চীনা সেনা নিহত। কিন্তু কেন এ সংঘাত, এর পরিণামই বা কী - ব্যখ্যা করেছেন নেপালের ভাষ্যকার ভিম ভুরতেল। আসুন আমরা জেনে নেই এই সংঘাতের কারন ও প্রভাব সর্ম্পকে

লাদাখে চীন ও ভারতের কান্ড দেখে স্পেনের দার্শনিক জর্জ সান্তায়ানা-র একটা বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে যায়। তিনি বলেছিলেন, 'যারা অতীত ভুলে যায়, তারাই অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটায় এবং নিন্দিত হয়।' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'চায়না পলিসি' অনেকটা সেরকম। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধে তাঁর দেশের যে বিপর্যয় ঘটেছিল, মোদিজী বুঝি আজকাল সে-কথা আর মনে করতেই চাচ্ছেন না। বরং মনে হচ্ছে, ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু চায়না স্ট্র্যাটেজি প্রশ্নে তাঁর রুশপন্থী স্ট্র্যাটেজিক এইড ভি কে কৃষ্ণমেননের কথার ওপর অতিরিক্ত আস্থা রেখে যে ভুল করেছিলেন, আজ মোদিও সেই একই নিয়তি বরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এক্ষেত্রে নির্ভর করছেন তাঁরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রানিয়াম জয়শঙ্করের ওপর, যার অটল বিশ্বাস যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গাঁটছড়া বাঁধা থাকাই ভারতের কৌশলগত স্বার্থ হাসিলের সবচাইতে ভালো উপায়।

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনকালে মোদি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতি ও রণকৌশলের অনেক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ তছনছ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করতে তিনি ভোটার আকর্ষণের উপাদান বানিয়ে ফেলেন পররাষ্ট্রনীতিকে। নির্বাচনী প্রচারকালে পুলওয়ামার সন্ত্রাসী হামলা এবং একইসাথে পাকিস্তানের বালাকোটে সারজিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলে-বলে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদকে নির্বাচনী এজেন্ডা বানিয়ে ফেলেন মোদি। এ সময় তিনি অঙ্গীকার করেন যে নির্বাচিত হলে পাকিস্তান-শাসিত 'আজাদ কাশ্মীর'কেও ভারতের দখলে নিয়ে আসবেন।

দেশ পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও পররাষ্ট্রনীতিকে ব্যবহার করে নিজের জনপ্রিয়তাকে বহু গুণ বাড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হন মোদী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য আরও অনেক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠকের ছবি দেখিয়ে ভোটারদের মুগ্ধ করেন এবং তাদের মন থেকে তার সরকারের ব্যর্থতার চিত্র মুছে ফেলতে সফল হন নরেন্দ্র মোদি।

অর্থনীতির একটা তত্ত্ব আছে, বাজারে যে পণ্য ও সেবা-ই থাকুক না কেন, তা পেতে হলে ক্রেতাকে অবশ্যই তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে অর্থাৎ বিনিময় ছাড়া কিছুই পাওয়া যাবে না। এ তত্ত্বটি আরও ভালোভাবে ফুটে উঠেছে একটি অনুশাসনে, যাতে বলা হয় : জগতে ফ্রী লাঞ্চ বা মিনিমাগনা বলতে কিছু নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রণকৌশলের ক্ষেত্রেও এ প্রবাদটি সমান সত্য। একটি সুপার পাওয়ার বা পরাশক্তির একজন নেতার সাথে প্রতিটি আলিঙ্গন ও করমর্দনেরই একটা নির্দিষ্ট দাম থাকে। কোনো-কোনো সময় এ দাম নগদ টাকায় পরিশোধ করতে হয়।

৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে এস-৪০০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে রাশিয়ার নেতা পুতিনের সাথে আলিঙ্গন ও করমর্দনের দাম দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইভাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-র সাথে আলিঙ্গন ও করমর্দনের দাম শোধ করতে হয়েছে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে রাফায়েল জঙ্গি বিমান কেনার চুক্তি করে। ট্রাম্প ও সি চিনপিং-এর বেলায়ও অনুরূপ চড়া কৌশলগত মূল্য পরিশোধ করতে হয় মোদিকে।

উদাহরণস্বরূপ দু'টি অনুষ্ঠানের কথা বলা যায়। প্রথম অনুষ্ঠানটি হয় ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে। প্রচুর নাচ, গান আর হাস্যকৌতুকে ভরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে সারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তবে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতি। তিনি এক ঘণ্টাব্যাপী মোদীর পাশে বদে অনুষ্ঠান 'উপভোগ' করেন।

একইভাবে এ বছর ২২ ফেব্রূয়ারি ভারতের গুজরাট রাজ্যে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোয়া লাখ লোকের উপস্থিতিতে আরেক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক কত গভীর! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তার ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে 'একজন ব্যতিক্রমী নেতা' বলে অভিহিত করে বলেন, 'এমন একজন মানুষকে সত্যিকার বন্ধু বলতে পেরে আমি গর্ব বোধ করছি।' তবে এসব অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যোগদান এবং মোদীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কিন্তু একবারে নিঃস্বার্থ নয়। এর বিনিময়ে ভূ-রাজনীতিতে মোদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত মিত্র ও বন্ধুর ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশ্ন হলো বন্ধু হিসেবে ট্রাম্প কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? সেটা যাচাই করার জন্য অতি সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের দিকে চোখ দিলে স্পষ্ট হবে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও 'এক চীন' নীতিতে অবিচল। এতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, চীনে রেজিম চেঞ্জ বা শাসক বদলের কথাও ভাবছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের যখন এই নীতি তখন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দু'জন এমপি-কে পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, যা স্পষ্টতই 'এক চীন' নীতির প্রতি অস্বীকৃতি। লাদাখে চলমান ঘটনায়ও ভারতের মার্কিন বন্ধুর চেহারা কিছুটা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতিও দেয়নি কেউই - না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে, না ভারতের অন্য কোনো বন্ধু দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি মরিসনের বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকের পর ৪ জুন প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারেও লাদাখ ইস্যুর কোনো উল্লেখই নেই।
অবস্থা দেখে মনে হয়, চীনের সাথে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হলে ভারত তার পাশে কাউকে পাবে না। কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সমস্যায় ছিল। তার সরকারি ঋণের পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল জিডিপি-র ১২৫ শতাংশে। হালে 'ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল'-এর এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, এটা ২,০০০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে।

এশিয়া বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ স্টিফেন রোচ হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন যে বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসার পাশাপাশি দ্রূত মার্কিন বাজেট ঘাটতি শিগগিরই ডলারের পতন ডেকে আনতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেও চীনের সাথে আরও ভালো একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। মনে করা হয়, আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দু' দেশের মধ্যে এ রকম একটি চুক্তি হতে পারে। কোভিড-১৯ অতিমারীতে চীনের ক্ষতি এবং বৈশ্বিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস থেকে ভারত লাভবান হবে বলে মোদি যেমন হিসেব কষে রেখেছেন, তা হাস্যকর বলেই মনে হচ্ছে।

মোদি একটা ভুল আশা করে বসে আছেন যে, চলমান মহামারির পর ভারত তার অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে দ্রূত ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে পারবে। তার বিশ্বাস, মহামারি-পরবর্তী বিশ্ব একটি পরিবর্তিত বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন দেখতে পাবে।

মোদি আশা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্য অনেক ইউরোপীয় দেশ তখন চীন থেকে তাদের অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করবে। তারা তখন ভারতকে তাদের অংশীদার ও মিত্র হিসেবে পেতে চাইবে। চীন থেকে তাদের কলকারখানা চলে যাবে নতুন গন্তব্যে এবং সেই নতুন গন্তব্যের নাম ভারত।

ভারতে একদিকে যখন কোভিড-১৯ অতিমারী ব্যাপকভাবে হানা দিতে শুরু করেছে, অন্যদিকে তার অর্থনীতিতেও নিম্ন গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত উন্নত বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজনই ভারতের রফতানি পণ্যের ক্রেতা। আর এরাই বিপুল সংখ্যায় কোভিড-১৯ অতিমারীর শিকারে পরিণত হচ্ছে। তাদের চাহিদা হ্রাসের বিরূপ প্রভাব আগামী বছর পড়বে ভারতের রফতানিতে মোদী টার্গেট করেছিলেন, চীন থেকে মার্কিন কম্পানিগুলো ভারতে চলে আসার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আমেরিকাই হবে ভারতের মূল বাণিজ্য অংশীদার। কিন্তু চীন থেকে মার্কিন কম্পানিগুলো ভারতে চলে আসবে - এমন গ্যারান্টি দেবে কে বা কারা?

দেখা গেছে, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর মাত্র পাঁচ শতাংশের মতো মার্কিন কম্পানি ভারতে চলে এসেছে। আর যদি তারা চলেও আসে, তাতে যে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। কেননা আগামী কয়েক বছর আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।

এমন এক অবস্থায় গত ১২ মে মোদি 'আত্মনির্ভর ভারত' কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সাথে ঘোষিত হয়েছে মহামারী-পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ। চীন ধারণা করছে, চীন থেকে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ঠেকাতে নিয়মকানুন কঠিন করাই মোদীর লক্ষ্য। চীন থেকে সরে যেতে চাওয়া মার্কিন কম্পানিগুলোকে ভারতের স্বাগত জানানোও ভারতে চীনা বিনিয়োগ ঠেকানোর লক্ষ্যেই বলে মনে করে চীন।
চীন চায় ভারতকে আমেরিকার কাছ থেকে সরিয়ে আনতে। কেননা তারা জানে, ভারতকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করে চীনকে হিমালয় অঞ্চল ও ভারত মহাসাগরের মধ্যেই কোণঠাসা করে রাখতে চায় আমেরিকা।

এ কারণেই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মাসে এক বিবৃতিতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছিল যেন দু' দেশ তাদের নেতাদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ও ঐকমত্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেগুলো মেনে চলে। কিন্তু এ ব্যাপারে মোদির কোনো আগ্রহই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতভুক্ত করার পর ভারত একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে, যাতে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরকেও 'ভারতের অংশ'রূপেই দেখানো হয়। এ সময় মোদির প্রধান দোসর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তেজনার বশে লোকসভায় বলে বসেন, আকসাই চীনকেও চীনের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনবে ভারত। পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শঙ্কর তড়িঘড়ি করে চীন সফরে যান এবং তাদের বোঝান যে, নিজ ভূখণ্ড সম্প্রসারণের কোনো অভিলাষ ভারতের নেই।

চীনও প্রথমে বিশ্বাস করেছিল যে এটা একটা রাজনৈতিক বক্তব্য বা কথার কথা মাত্র। কিন্তু পরে তাইওয়ান ইস্যুতে নীতি বদল, ভারতে চীনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুনর্গঠন, কোভিড-১৯ বিস্তার নিয়ে তদন্ত, অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি ইত্যাদি নানা ইস্যুতে ভারতের প্রতি চীনের সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। তারা এখন বিশ্বাস করছে, মোদি মন বদল করেছেন এবং চীনের সাথে অংশীদারিত্বেও আর বিশ্বাসী নন।

চীন এখন ভারতকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে চায় যে, হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা মেনে চলো, নয়তো লাদাখে মুখোমুখি হয়ে ১৯৬২ সালের চাইতেও করুণ পরিণতি ভোগের জন্য প্রস্তুত হও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি চীনের এ বার্তায় সাড়া না-দেন, তাহলে ভারতকে ১৯৬২ সালের চাইতেও কঠিন সাজা দেবে চীন। তখন মোদির পরিণাম হবে ঊনিশ শতকের রুশ ইতিহাসবিদ ভাসিলি ক্লিয়ুচেভস্কির সেই অবিস্মরণীয় উক্তির মতো : ''ইতিহাস আমাদের কিছুই শিক্ষা দেয় না, কিন্তু তার কাছ থেকে শিক্ষা না-নিলে সাজা দেয়।''


প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে