কেমন আছেন স্পেনের মুসলিমরা

ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, মাদ্রিদ

  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৩১

স্পেনে মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ মুসলিম। সে হিসাবে সেখানে এখন ২১ লাখ মুসলিমের বাস। এদের মধ্যে স্পেনিশ ও মরক্কান বংশোদ্ভূত মুসলিমের সংখ্যাই ৮ লাখের মতো। এরপরই পাকিস্তান, সেনেগাল ও আলজেরিয়ার অবস্থান। স্পেনের উত্তরপূর্বে অবস্থিত কাতালোনিয়ায় বসবাস করেন প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মুসলিম।

‘অবজারবেটরি অব রিলিজিয়াস প্লুরালিজম ইন স্পেন’-এর তথ্যমতে, দেশটিতে ছোটবড় মিলিয়ে ১৭১০টি মসজিদ রয়েছে। মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় প্রয়োজনে মসজিদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এরপরও বড় শহর ছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় মসজিদ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দেশটিতে মুসলিমদের জন্য কবরস্থান রয়েছে ৩৬টি।

ইসলামী সংগঠনের সংখ্যাও কম নয়। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘রিলিজিয়াস এনটিটিস অফিস’ নিবন্ধিত ইসলামিক ফেডারেশনের সংখ্যা ৫৯, কম্যুনিটি ১ হাজার ৭০৪ এবং অ্যাসোসিয়েশন ২১। বিভিন্ন এলাকার সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামি শিক্ষা দেওয়া হয়। ইসলাম শিক্ষার জন্য নিবন্ধিত শিক্ষকের সংখ্যা ৮০।

স্পেনে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস স্বায়ত্তশাসিত কাতালোনিয়ায়। কাতালোনিয়ার আজকের স্বাধীনতার গর্বিত অংশীদার অঞ্চলটির মুসলিম জনগণ। এ অঞ্চলে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য মুসলিমদের দোষারোপও করা হয়। কারণ, স্বাধীনতার প্রশ্নে কাতালোনিয়ার অধিকাংশ মুসলিম সরব।

কাতালোনিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫৪ লাখ। এর ১০ শতাংশের বেশি মুসলিম। রাজধানী বার্সেলোনায় এ হার অনেক বেশি।

কাতালোনিয়ার কোনো না কোনো অংশ সব সময় মুসলিম শাসনাধীন থাকলেও সম্পূর্ণ কাতালোনিয়া মুসলিম শাসনাধীন ছিল অল্পসময়। মুসলিম শাসকদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম ছিনিয়ে নেওয়া হয় বার্সেলোনা শহরটি। মুসলিম শাসনাধীন হওয়ার মাত্র ৯০ বছরের মাথায় তা হাতছাড়া হয় স্পেনীয় উমাইয়া শাসকদের।

কাতালোনিয়া মুসলিম শাসনকে মেনে না নিলেও এখানকার মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। গ্রানাডায় মুসলিম শাসনের পতনের পূর্ব পর্যন্ত স্পেনের অন্যান্য অঞ্চলের মতো কাতালোনিয়া ছিল মুসলিম প্রভাবাধীন। এখানে সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ভাষায় এখনও সে প্রভাব দৃশ্যমান।

গত শতকের আশির দশকে সেখানে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন জোরালো হলে মুসলিমদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূলত ১৯৮০ সালে কাতালোনিয়া কৃষি উন্নয়নে মনোযোগ দেয় এবং সেজন্য তারা বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় মরক্কো, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে বিপুল মুসলিম কাতালোনিয়ায় পাড়ি জমান। এশীয় অঞ্চল থেকে বহু পাকিস্তানি কাতালোনিয়ায় যান সে সময়।

বলা যায়, কাতালোনিয়ার কৃষি বিপ্লব সংঘটিত হয় অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকদের মাধ্যমেই। কৃষি বিপ্লব আধুনিক কাতালোনিয়ার ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে কাজ করেছে বলে অনেক গবেষকের মত।

১৯৯০ সালে কাতালোনিয়ায় জাতীয়তাবাদী সরকার গঠিত হলে নতুন অভিবাসী আইন প্রণয়ন করে। এ আইনের ফলে মুসলিম অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ তৈরি হয়। এখন সেখানে শতাধিক মুসলিম কমিউনিটির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে ৩২৪টি মসজিদ ও ১৬টি মাদরাসা।

যেখানে প্রায় ৮০০ বছর শাসন করেন মুসলিমরা, সেই পুরো স্পেনে ভালোমন্দের মধ্য দিয়ে চলছে মুসলিমদের অবস্থা। মুসলিম কমিউনিটিগুলো ধর্মীয় কাজে এগিয়ে এলে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। সম্প্রতি সেখানে জোরেশোরে শুরু হয়েছে ইসলাম-ফোবিয়া।

দেশটিতে ইসলামভীতি ছড়ানোর ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বিশ^মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে। মিথ্যা সংবাদের ওপর ভিত্তি করে ইসলামের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়ানোর মাত্রা বেড়েছে। বার্সেলোনা ও ক্যামব্রিলসে ফেইক নিউজের ওপর ভিত্তি করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে এবং ১৬ জন নিহত হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশটিতে ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে সহিসংতার ঘটনা বেড়েছে ১২০ শতাংশ।

ইসলামফোবিয়া ঠেকানোর জন্য অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের জন্য সমালোচিত হয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালে এ সহিংস অপরাধ ঠেকাতে লোকদেখানো অ্যাকশন প্ল্যান নিলেও ইসলামফোবিয়াকে সুনির্দিষ্টভাবে অপরাধের শ্রেণিভুক্ত করেনি তারা। ফলে এ অপরাধ বাড়ছেই।

ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়াবহ অসত্য সংবাদ ছড়িয়ে সেখানে মুসলিমদের ভয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এ-রকম: একদল আরব জাহাজে করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনে আসছেন। তারা সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন। একজন বলছেন, ‘যারা মুহাম্মদ (স.)-এর প্রশংসা করে না, আমরা সেইসব অবিশ^াসী স্পেনিশদের গলা কাটতে যাচ্ছি।’ তারা স্লোগান দিতে দিতে তীরে উঠছেন। এক তরুণের হাতে ছোরা।

ফেইক ভিডিওটি ফেইসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

‘মালদিতা মাইগ্রেশন’ নামে একটি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত অভিবাসন ও ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩২১টি মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ১২৯টি নিউজই করা হয়েছে ধর্মকে সরাসরি টার্গেট করে।

ইসলামফোবিয়া ঠেকাতে সরকারের সহযোগিতা না মিললেও ইসলামী সংগঠনগুলো ইসলামের শান্তির মর্মকথা ছড়িয়ে দিতে দিনরাত কাজ করছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিভিন্ন মসজিদ থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এতে অনেক স্পেনিশের মধ্য থেকে ইসলামফোবিয়া কেটে যাচ্ছে।

মুসলিমদের স্পেন শাসনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সবার জানা। ৭১১ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের মাটিতে পা রাখে মুসলিম বাহিনী। মুসলিম সেনাপতি তারিক ইবনে জিয়াদের নেতৃত্বে স্পেনের অত্যাচারী রাজা রডারিককে পরাজিত করে মুসলিমরা সেখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করে। মুসলিম আগমনের এক দশকের মধ্যে আইবেরীয় উপদ্বীপে বর্তমান স্পেন ও পর্তুগালের অধিকাংশ ভূখণ্ডই তাদের অধীনে চলে আসে।

খ্রিস্টীয় নবম শতকে আন্দালুস হয়ে ওঠে ইউরোপের সবচেয়ে অগ্রসর অঞ্চল। এই ভূখণ্ডের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোকই ইসলাম ছায়াতলে আশ্রয় নেন। এর রাজধানী কর্ডোভা ছিল মুসলিমবিশ্ব ও ইউরোপের জ্ঞানপিপাসুদের তীর্থস্থান।

১০৩১ খ্রিস্টাব্দে উমাইয়া শাসনের পতন হলে আল-আন্দালুস অসংখ্য ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই রাজ্যগুলো তাইফা নামে পরিচিত ছিল। রাজ্যগুলো একতাবদ্ধ না হওয়ায় ধীরে ধীরে উত্তরের খ্রিস্টান রাজ্যগুলোর আগ্রাসনের শিকার হতে থাকে। পরে দুইশ বছরের মধ্যে খ্রিস্টান আগ্রাসনে একে একে এই রাজ্যগুলোর পতন ঘটতে থাকে। ১২৪০ সালের মধ্যে দক্ষিণের একমাত্র গ্রানাডা ছাড়া বাকি সবগুলো রাজ্য মুসলিমদের হাতছাড়া হয়ে যায়।

১২৩৬ সালে কর্ভোভার পতনের পর গ্রানাডার শাসকেরা উত্তরের শক্তিশালী খ্রিস্টান রাজ্য ক্যাস্টাইলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুসারে, বার্ষিক কর প্রদানের ভিত্তিতে গ্রানাডা নিজেদের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার অধিকার লাভ করে।

যদিও ২৫০ বছরের বেশি সময় গ্রানাডা খ্রিস্টান ক্যাস্টাইল রাজ্যের করদ রাজ্য হিসেবে তার অবস্থান টিকিয়ে রাখে, কিন্তু চারপাশের বৈরী খ্রিস্টান রাজ্যগুলোর অবস্থানে সবসময়ই তার স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা ছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম পণ্ডিত আল-আন্দালুসের এই শেষ অবস্থান সম্পর্কে লেখেন, ‘দিন-রাত গ্রানাডার অধিবাসীরা বিশাল সমুদ্র ও তাদের প্রতি বৈরী বিশাল সেনাবাহিনী হাতে নিষ্পেষিত হচ্ছিল।’

১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরাগনের রাজা ফারডিন্যান্ড ক্যাস্টাইলের রানী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন। এর মাধ্যমে আইবেরীয় উপদ্বীপের দুইটি শক্তিশালী খ্রিস্টান রাজ্য একত্রিত হয়। এই ঐক্যবদ্ধ খ্রিস্টান শক্তি আন্দালুসের মাটি থেকে সর্বশেষ মুসলিম রাজ্যটির স্বাধীন শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

১৪৮২ খ্রিস্টাব্দে ঐক্যবদ্ধ খ্রিস্টান শক্তির সঙ্গে গ্রানাডার সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের সময় খ্রিস্টান সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ ছিল। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল না। অন্যদিকে, গ্রানাডায় মুসলিম শাসক ও প্রশাসকরা পারস্পরিক ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই অর্থের বিনিময়ে খ্রিস্টান শক্তির পক্ষে কাজ করছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় গ্রানাডার আমির আবুল হাসানের পুত্র মুহাম্মদ তার পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।

রাজা ফারডিন্যান্ড এই সুযোগকে কাজে লাগান। তিনি মুহাম্মদকে তার পিতা এবং পরবর্তীতে তার চাচা আল জাগলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে সাহায্য করেন। মুহাম্মদ ফারডিন্যান্ডের সাহায্যে তার পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গ্রানাডা অধিকারে সক্ষম হন। এর মাধ্যমে ফারডিন্যান্ডের সেনাবাহিনী গ্রানাডার ভূমিতে পা ফেলতে সক্ষম হয়। ১৪৯০ সালে মুহাম্মদ যখন গ্রানাডার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন, তখন গ্রানাডা শহর ছাড়া আর কোনো অঞ্চলেই তার ক্ষমতা ছিল না।

গ্রানাডা অধিকারের পরপরই নতুন আমির মুহাম্মদকে রাজা ফারডিন্যান্ড গ্রানাডাকে তার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে মুহাম্মদ বিস্মিত হন এবং বুঝতে পারেন, তিনি এতোদিন ফারডিন্যান্ডের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। ১৪৯১ সালের নভেম্বরে মুহাম্মদ গ্রানাডার শাসনক্ষমতা খ্রিস্টানদের দিয়ে দেওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।

এ পরাজয়ের পর মুসলিমদের ওপর নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। মুসলিমদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তাদের পূর্বপুরুষরা খ্রিস্টান ছিল, কাজেই তাদের হয় আবার খ্রিস্টান হতে হবে, নইলে তার ফল ভোগ করতে হবে। অনেকে প্রকাশ্যে খ্রিস্টধর্ম স্বীকার করতেন, কিন্তু গোপনে ইসলামের আচার-অনুষ্ঠান পালন করতেন।

১৫০১ সালে কেস্টাইলে এক রাজকীয় আদেশে ঘোষণা করা হয়, কেস্টাইল আর লিয়নের সব মুসলিমকে হয় খ্রিস্টান হতে হবে, না হয় স্পেন ছেড়ে চলে যেতে হবে।

১৫২৬ সালে আরাগনের মুসলিমদের ওপর ওই একই আদেশ জারি করা হয়। ১৫৫৬ সালে দ্বিতীয় ফিলিপ আইন জারি করেন যে, বাকি মুসলিমদের অনতিবিলম্বে তাদের ভাষা, নামাজ-রোজা, অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং জীবনযাত্রা ত্যাগ করতে হবে। তিনি এমন আদেশ দিয়ে বসেন যে, স্পেনীয় হাম্মামখানাগুলি বিধর্মীদের চিহ্ন, কাজেই সেগুলি ভেঙে ফেলতে হবে। এতে গ্রানাডা অঞ্চলে বিদ্রোহ দেখা দেয় এবং পাশের পার্বত্য অঞ্চল পর্যন্ত তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সে বিদ্রোহ দমন করা হয়।

১৬০৯ সালে তৃতীয় ফিলিপ মুসলিম বিতাড়নের শেষ হুকুমনামায় স্বাক্ষর করেন। এর ফলে স্পেনের সব মুসলিমকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়। কথিত আছে, প্রায় পাঁচ লাখ মুসলিম আফ্রিকা বা অন্য কোনো মুসলিম দেশে যাওয়ার জন্য জাহাজে উঠতে বাধ্য হন। হিসাবে দেখা যায় যে, গ্রানাডার পতন ও সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দশকের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মুসলিম নির্বাসিত অথবা নিহত হন।

সেই স্পেনে হারিয়ে যাওয়া ইসলাম এখন ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য হারে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় অনেকে ইসলাম গ্রহণ করছেন। মুসলিম দেশগুলোর অভিবাসীর সংখ্যাও বাড়ছে। বাড়ছে মসজিদ, ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইসলামী সংগঠন, সর্বোপরি ইসলামী তৎপরতা।