আসামে ৬০০ মাদরাসা বন্ধ হচ্ছে কেন?


  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:১৭

ভারতের বিজেপি-শাসিত আসাম রাজ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব মাদরাসা। সম্প্রতি আসাম বিধানসভায় এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে। এ নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বেও। আসামের বিরোধী শিবিরের দাবি, আরও একটি মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নিল বিজেপি।

আসামে প্রায় ছয় শতাধিক নথিভুক্ত মাদরাসা রয়েছে। প্রতিটি মাদরাসাই একটি বোর্ডের অন্তর্গত। বিজেপি আসামে ক্ষমতায় আসার পরই ঘোষণা করেছিল, মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, মাদরাসায় ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়। তাদের ভাষায়, ওই শিক্ষা গ্রহণ করে সাধারণ মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা মূলস্রোতে কাজের সুযোগ পায় না। যদিও বিজেপির এই দাবির সঙ্গে সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় শিবির একমত নয়।

আসামে বিজেপির মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাদরাসাগুলোকে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কুরআন সরিয়ে বাইবেল এবং ভগবত গীতাকেও স্থান দিতে হবে। সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখানে অনেক ছোট ধর্ম রয়েছে। সমতা প্রতিষ্ঠার সর্বোত্তম উপায় হলো কুরআনকে অগ্রাধিকার দেওয়া থেকে সরে আসা।

১৯৩৪ সালে মুসলিম লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী স্যার সৈয়দ সাদুল্লার নেতৃত্বে আসামে মাদরাসা শিক্ষা চালু হয়, এ সময় রাজ্য মাদরাসা বোর্ডও গঠিত হয়।

আসাম কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর বক্তব্য, সরকারি কাজের টোপ দিয়ে মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি সরকার। মাদরাসা বন্ধ করে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে প্রচণ্ড আঘাত করা হয়েছে।

আসামের বিরোধী দল ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ সংক্ষেপে এআইইউডিএফ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব। ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বললেন, ‘আমরা ইস্যুটি সুপ্রিম কোর্টে নেওয়ার চিন্তা করছি। বিধানসভার ভেতরে-বাইরে আমরা সরব; এ নিয়ে সংগ্রাম চলবে।’

এআইইউডিএফ প্রধান মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল সম্প্রতি বলেছেন, কংগ্রেস-এআইইউডিএফ জোট ক্ষমতায় এলেই সব মাদরাসা খুলে দেওয়া হবে। একবার ক্যাবিনেট মিটিং ডেকে একের পর এক মাদরাসা খুলে দেব, তখন দেখব কে আটকায়?

আসামে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী- রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখের মতো, সেখানে মুসলিম প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ। মোট জনসংখ্যার ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ মুসলিম। শতাংশের হিসাবে জম্মু-কাশ্মীরের পর আসামেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস।

জম্মু-কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে মুসলিম কমিয়ে সনাতম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করেছে বিজেপি সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে জনতাত্ত্বিক কাঠামো পরিবর্তনে বিজেপি সরকারের চেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার তুরস্ক, পাকিস্তান, আজারবাইজানসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ। বিশ্লেষকরা বলেছেন, কাশ্মীর মিশন সফল হওয়ার পর এখন বিজেপি সরকারের চোখ আসামে। এ উদ্দেশ্যে মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে মুসলিমদের ওপর উগ্রবাদী হিন্দুদের নির্যাতন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। উগ্র ডানপন্থী দল ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। সঙ্ঘাতে সরকারি মদত দেওয়া হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত বলা চলে। সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ১৯৪৭ সালে বিভাজনের সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সহিংসতার অসংখ্য ঘটনা ঘটে। প্রায়শ উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর সহিংস হামলা চালাত, যা হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভিত রচনা করে। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৫৪ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ৬ হাজার ৯৩৩টি ঘটনা ঘটে ভারতে, যেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় প্রায় ৫ হাজার মুসলিম নিহত হন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তথ্য প্রকাশিত হয়। সেই দাঙ্গায় উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের সঙ্গে এমন কোনো অমানবিকতা নেই, যা করেনি। প্রায় ১ হাজার নারীকে সে সময় ধর্ষণ করা হয়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তখনকার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় ৫০ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয়। নয়াদিল্লিতে এ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের ওপর উগ্র হিন্দুরা হামলা চালালে বহু মুসলিম হতাহত হন।

মার্কিন ফরেন পলিসি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশুতোষ ভারশেনি বলেছেন, ‘দিল্লির সাম্প্রতিক মুসলিম গণহত্যা পূর্বপরিকল্পিত। বলা যায়, এসব উগ্র হিন্দুদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির উগ্রনীতির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

নয়াদিল্লিতে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানো ছাড়াও উগ্র হিন্দুরা অন্তত ১০টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং চেয়ে চেয়ে দেখেছে। এমনকি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোদ পুলিশও উগ্র হিন্দুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।

মোদির শাসনামলে মুসলিমবিরোধী সহিংসতা উগ্র রূপ নেয়। গরুর মাংস খাওয়ার গুজব তুলে অন্তত ৪০টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর বেশিরভাগেরই বিচার হয়নি। ফলে সংখ্যালঘুদের ‘চাইলেই নির্যাতন করা যায়’, এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আসামে ডানপন্থী বিজেপি সরকার ও তার সমর্থকদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সেখানকার মুসলিমরা। সেখানে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মুসলিম নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে উগ্র হিন্দুদের হাতে মুসলিম হত্যার ঘটনা। হিন্দু ধর্মীয় নেতারা আশঙ্কা করেছেন, সেখানে মুসলিমের সংখ্যা হিন্দুদের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে। এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আসাম হিন্দুদের হাতছাড়া হবে। অভিযোগ রয়েছে, মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর প্রয়াসে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে ‘এনআরসি’ অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে।

ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস সংক্ষেপে এনআরসি যে মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার হাতিয়ার, তা বিশ্বব্যাপী আলোচিত। এ অভিযোগ শুধু ভারতীয় মুসলিমদের নয়, আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-ও। এক রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, এনআরসির মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘু তথা মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বিশেষত ভারতীয় মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে তোলা এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

নীতি বিশ্লেষক হ্যারিসন একিন্সের তদারিকতে ওই রিপোর্ট তৈরি করে কমিশন। এতে বলা হয়, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার যে ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে, সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিতাড়ন করার এই প্রচেষ্টাই তার অন্যতম উদাহরণ। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে তাদের মুসলিমবিরোধী মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।’

জানা প্রয়োজন, এনআরসি জাতীয় রেজিস্টার হলেও শুধু আসামেই এর প্রয়োগ করা হয়েছে। এ প্রশ্নবোধক উদ্যোগে সারা বিশ্ব সরব হলেও মোদি সরকার তার অবস্থানে অনড়।

এনআরসিসহ আসামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কঠোর অবস্থানে আছে ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’। বলা যায়, আসামের রাজনীতিতে বেশ শক্তিশালী এ ফ্রন্ট। দৃশ্যত, এবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে তাদের জোট।

সামনে আসামে ভোট। বিজেপির হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এ ফ্রন্ট। গতবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ার কারণেই হেরেছিলেন তারা। গতবার রাজ্যে বিজেপি ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেলেও, কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১ শতাংশ জনসমর্থন। আলাদা লড়ে এআইইউডিএফ পায় ১৩ শতাংশ। কিন্তু জোটে ভর করে বিজেপি রাজ্যের ১২৬টির মধ্যে আসন পায় ৬০টি। ‘অসম গণ পরিষদ’ ও ‘বোড়োভূমি পিপলস ফ্রন্ট’-এর সমর্থনে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ জোট না করায় তাদের সম্মিলিত আসন-সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭। তাদের সম্মিলিত ভোটের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। অথচ বিজেপি জোট পায় মাত্র ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। তখন থেকেই কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ নেতারা বুঝেছিলেন, জোট কতটা জরুরি।

প্রসঙ্গত, মাওলানা বদরউদ্দিন আজমলের এআইইউডিএফ ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০টি, ২০১১ সালে ১৮টি এবং ২০১৬ সালে ১৩টি আসনে জয়ী হয়।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর ভোটের হার বাড়ে। বিজেপির কমে। কিন্তু জোট না হওয়ায় রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় মাত্র ৩টি আসন এবং এআইইউডিএফ একটি। বিজেপি জিতে যায় ৯টি আসনে। বিজেপি জোটের সম্মিলিত ভোট ছিল ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আর কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর ভোট ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল বিজেপি-বিরোধী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট করার ডাক দিয়েছেন। আজমলের মতে, বিজেপিকে হারানোই এখন প্রধান কাজ। এছাড়া আসামে নতুন করে গঠিত হয়েছে বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি আঞ্চলিক দল। তাদের সঙ্গেও জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। জোট হলে বিজেপি যে হারবে, তা অনেকটা নিশ্চিত।

ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করতে পারলে মানুষের মধ্যে উগ্রতা তৈরি হয়, আর এ সুযোগটা পেয়ে যায় বিজেপি। আসামেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না দেখে মাদরাসা বন্ধের কর্মসূচি হাতে নিয়ে হিন্দুদের খুশি করার চেষ্টা করছে দলটি।

এ আভাসই দিয়েছেন আসাম বিধানসভার বিরোধী নেতা এবং কংগ্রেস সদস্য দেবব্রত সাইকিয়া। তিনি বললেন, মাদরাসা বন্ধের যে আইন সরকার করেছে, তা মূলত হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে একটা বড় বিভাজন তৈরি করার প্রয়াসে। নির্বাচনকে সামনে রেখে হিন্দুদের ভোট নেওয়ার বিশ্রি কৌশল এটি।

আসামের মানবাধিকার আইনজীবী আমান ওয়াদুদ বললেন, এসব মাদরাসায় শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয় না। কুরআন-হাদিস ছাড়াও আরবি ও ইসলামি সাহিত্য, ভারতীয় ইতিহাস পড়ানো হয়। এগুলো নিছক ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানুষের শিক্ষার অধিকারের অন্তরায়।

ইন্ডিয়ান মুসলিম ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র শোয়াইব জামায়ী বললেন, এটা পরিষ্কার যে, সংখ্যালঘুদের সরকার সহ্য করতে পারছে না। দেশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানে এ শিক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।

বিজেপি নেতারা দেশটিকে মুসলিমমুক্ত করার বাসনা প্রায়শ প্রকাশ করে থাকেন। মুসলিম নিধনের হুমকি দেন। এতে উৎসাহী হয়ে উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। খুন, ধর্ষণকে জায়েজ মনে করে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনে যখন সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য সহায়তার অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্র যখন এখানে কার্যত নীরব থাকে, তখন সভ্য দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থান বিশ্বে কোথায় গিয়ে ঠেকে, বলার অপেক্ষা রাখে না।