দ্বিতীয় ধাপে ফ্রান্স থেকে আরো তিন রাফালে পেলো ভারত

তিনটি নতুন রাফালে আসায় সবমিলিয়ে ভারতের বিমান বাহিনীতে রাফালের সংখ্যা এখন ৮ এ উন্নীত হলো - ড্যাসল্ট এভিয়েশন

  • আলী আহমেদ
  • ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:১০

দ্বিতীয় ধাপে আরো তিনটি রাফালে বিমান ভারতের গুজরাটের জামনগর বিমান ঘাটিতে এসে পৌঁছেছে। ফ্রান্স থেকে এ তিনটি বিমান যাত্রা শুরু করার পর কোথাও না থেমে সরাসরি চলে আসে ভারতে। এ রাফালেগুলো হাতে পাওয়ায় ভারত-চীন সীমান্তের লাদাখে দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মুহুর্তে ভারত আকাশপথে আরো শক্তিশালী অবস্থানে চলে গেলো। এ তিনটি নতুন রাফালে আসায় সবমিলিয়ে ভারতের বিমান বাহিনীতে রাফালের সংখ্যা এখন ৮ এ উন্নীত হলো।

ভারত সরকার ৩৬টি রাফালে বিমান ক্রয় করার জন্য ফ্রান্সের সাথে ৫৯ হাজার কোটি রুপীর একটি বিশাল চুক্তি সম্পাদন করেছিল ৪ বছর আগে। তারই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে এ তিনটি বিমান ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার সময় ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছায়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সদর দফতর একটি টুইট বার্তায় এ খবর নিশ্চিত করেছে।

এর আগে দ্বিতীয় ধাপে রাফালে জেট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানার জন্য ভারতের বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কমর্কর্তারা গত মাসে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। এ বিমানগুলো হাতে পেয়েই ভারত দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় চীনা সীমান্তের নিকটবর্তী স্থানে এ বিমানগুলোকে মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছিল। ভারত এ পর্যন্ত ফ্রান্সের কাছে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ৩৬টি কারনার্ড ডেল্টা উইং যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ১০ তারিখে ভারত রাফালে জেটের প্রথম চালানটি গ্রহণ করে। এর পরপরই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ উক্ত বিমানগুলোকে লাদাক অঞ্চলে মোতায়েন করে।

নয়াদিল্লী জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাফালে জেটের পরবর্তী চালানটিও তাদের কাছে এসে যাবে। মূলত এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্যই ভারতীয় বিমান বাহিনী সহকারী প্রকল্প প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এন তিওয়ারির নেতৃত্বে বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন। কারণ ভারত ও চীন উভয়দেশই নিয়মিতভাবে তাদের লাইন অব এ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তথা এলএসিতে শক্তি মজুদের মাত্রা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতি ৩-৪ মাস পরপরই ভারত কিছু কিছু করে রাফালে জেট পেতে থাকবে। আর নয়াদিল্লি ভবিষ্যতেও অত্যাধুনিক আরো কিছু যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে বলেও তিনি জানান।

সাম্প্রতিক একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাদুরিয়া বলেন, “আমরা কি শুধু রাফালেই কিনবো নাকি আরো ভিন্ন মডেলের যুদ্ধবিমান কিনবো- তা এখুনি বলা যাচ্ছে না। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি। সময়মতো পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আরএফআই তথা বিভিন্ন যুদ্ধবিমান সমন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সবগুলো প্রস্তাব নিয়েই আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সময় ও চাহিদা যখন আরেকটু স্পষ্ট হবে, তখুনি আমরা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব এবং আপনাদেরকে সে সিদ্ধান্তের কথা জানাবো।”

অনেকেই মনে করছেন যে, ভারত চীনকে শায়েস্তা করার জন্যই এবং চীনের থেকে আরো শক্তিশালী হওয়ার জন্যই এতোসব অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার অভিপ্রায়ে নানামুখী প্রয়াস শুরু করেছে। যদিও ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়া সে কথাকে অগ্রাহ্য করে বলেছেন, ভারত লাইন অব এ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তথা এলএসিতে খুব ভালোভাবেই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। আর এখন পর্যন্ত এমন কোনো লক্ষণ নেই যে, চীন কোনোক্ষেত্রেই ভারতের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে আছে।

ভাদুরিয়া অবশ্য চীনের সেনাবাহিনী তথা পিপলস লিবারেশন আর্মির আকাশপথের কিছু বিষয়ে বাড়তি সক্ষমতার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে ভ‚মি থেকে আকাশে মিসাইল নিরাপত্তা এবং অনেক দূরের টার্গেটে অস্ত্র নিক্ষেপে চীনের উন্নত অবস্থানকে তিনি মেনে নিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, ভারত তার বিরুদ্ধেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন, চীনকে আমরা হুমকি মনে করছিনা। বরং এ মুহুর্তে আমরাই ভালো অবস্থায় আছি।

গালওয়ান সংঘাতের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি এবং এ কারণেই বেশ কিছু ভারতীয় সেনা সে যুদ্ধে নিহত হয়েছে। ভাদুরিয়ার কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লাদাক খুবই ছোট একটি এলাকা। সেখানে আমাদের খুবই কম সংখ্যক সেনা ও অস্ত্র মজুদ ছিল। তবে, আমরা আশপাশের এলাকায় আমাদের মোতায়েন বাড়িয়েছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে লাদাকে ভবিষ্যতে যেকোনো আক্রমনকে আমরা শক্তহাতে জবাব দিতে পারবো।

এলএসিতে সাধারণত আমরা ততটা বেপরোয়া থাকি না। তবে, চীনের উসকানিমূলক কর্মকান্ডের পর যেভাবে আমাদের কমব্যাট অপারেশনগুলো পরিচালিত হয়েছে এবং যত কম সময়ের মাঝে আমরা তাদেরকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি তাতে খোদ চীনারাই বিস্মিত হয়ে পড়েছিল। আর এখন আমরা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আমাদের সক্ষমতাও বেড়েছে। বিমান বাহিনীর ক্ষমতা বেড়েছে আবার স্থলবাহিনীও এখন পূর্ণমাত্রায় সহায়তার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা বিগত কয়েকদিনে উক্ত এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য ও অস্ত্র মজুদ করেছি।”

ভাদুরিয়া বলেন, চীনের বিমান বাহিনীর সেনা সংখ্যা অনেক বেশি এবং তাদের ভ‚মি থেকে আকাশে হামলার প্রযুক্তিগত ক্ষমতাও বেশি। তবে ভারতের পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল তার চেয়েও শক্তিশালী। আমরা আমাদেন সবলতাগুলো জানি এবং সময়মতো আমরা সবই প্রয়োগ করবো।

তিনি জানান, নতুন সংযুক্ত হওয়া রাফালে বিমানগুলোতে অস্ত্র সংযুক্তকরণের প্রক্রিয়াটি বেশ কার্যকর। তাছাড়া এর সেন্সর ও প্রযুক্তিও উন্নত। তাই লাদাকে রাফালে ব্যবহার শুরু হওয়ায় এভন থেকে আমরা সেভাবে অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবো।

আশা করা যাচ্ছে, ভারত এ যাত্রায় যে ৩৬টি রাফালের ক্রয় আদেশ দিয়ে রেখেছে তা আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতের কাছে চলে আসবে এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীও তা ব্যবহার করতে শুরু করবে। আম্বালায় ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স প্যারি, ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং বিমানবাহিনী প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়ার উপস্থিতিতে এ বিমানগুলোকে কমিশন করা হয়।

বিমানগুলোকে গোল্ডেন এ্যারোজ সেভেনটিন স্কোয়াড্রনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে ২৩ বছর আগে ভারতীয় বিমান বাহিনী সর্বশেষ কোনো বড়ো বিমানের চালান আমদানি করেছিল। সে সময় ভারত রাশিয়া থেকে প্রস্তুতকৃত সুখোই জেট বিমানগুলো মস্কো থেকে ক্রয় করেছিল।

নতুন রাফালে বিমানগুলোর স্কোয়াড্রনকে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে হারিয়ানার আম্বালা এবং পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাটিতে মোতায়েন করবে- এরকম একটি তথ্যও বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারত সরকার ফরাসী সরকার এবং দাসোঁল্ট এভিয়েশনের সাথে ৭.৮ বিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ৩৬টি রাফালে বিমান ক্রয় করার জন্য চুক্তি করে। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রয়োজনকে পূরণের জন্যই ভারত তড়িঘড়ি করে অত্যাধুনিক এ বিমানগুলো কেনার প্রয়াস নেয়।

ফ্রান্সের রাফালের পাশাপাশি ভারত আরো কয়েকটি দেশের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকেও নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছে। এর মধ্যে আছে সুইডেনের সাব গ্রিপেন, ইউরোপিয়ান ইউরোফাইটার টাইফুন, রাশিয়ার মিগ-থার্টিফাইভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এফএ এইটিন সুপার হর্নেট।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর হাতে এ মুহুর্তে শুধুমাত্র ৩০টি ফাইটার স্কোয়াড্রন রয়েছে। ভারত তার আকাশ নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এমন সব বিমানের ওপর বর্তমানে নির্ভর করছে- যেগুলো সংশ্লিষ্ট পাইলটের তুলনায় অনেক বেশি পুরাতন। এসব সেকেলে বিমানগুলো এখন পাইলটরাও পছন্দ করছে না। তারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিয়মিতভাবে অত্যাধুনিক বিমান কেনার চাহিদা দিয়ে রেখেছে।

বর্তমানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে ২৪৪টি ভিনটেজ মিগ টোয়েন্টি ওয়ান রয়েঠেছ যা ১৯৬০ সালে নির্মিত হয়েছে। আরো আছে ৮৪টি মিগ টোয়েন্টি সেভেন যা ভিনটেজের তুলনায় বয়সে কিছুটা নবীন। এর পাশাপাশি ভারতের হাতে কয়েকটি মিগ-টোয়েন্টি ওয়ান রয়েছে যেগুলোকে সাধারণভাবে দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে গন্য করা হয়। ১৯৬৩ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রথমবারের মতো মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বিমান ব্যবহার শুরু করে। তারপর থেকে আজ অবধি ৪৯০টি বিমান দুর্ঘটনায় ভ‚পতিত হয়েছে এবং এসব দুর্ঘটনায় সব মিলিয়ে ২শ জনের বেশি পাইলট নিহতও হয়েছেন।

এ বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি পুরনো মিগগুলোকে হটিয়ে সে জায়গায় নতুন নতুন বিমান সংযুক্ত করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে রাফালেই ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। কেননা, রাফালে বিমানগুলো আকাশপথে আধিপত্য বজায় রাখতে পারে। তাছাড়া এই বিমানগুলো আভ্যন্তরিন ব্যবস্থাপনা, বিমান নিয়ন্ত্রণ, ভূমি থেকে সমর্থন, শত্রু এলাকার ভেতরে ঢুকে হামলা, শত্রুর ভাসমান জাহাজে হামলা এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ মিশনও পরিচালনা করতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, রাফালে বিমানগুলোকে সঠিকভাবে উড্ডয়ন করার উদ্দেশ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকজন চৌকষ পাইলটকে বর্তমানে ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে সেইন্ট ডিজিয়ার নামক বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়ে নিয়মিতভাবে রাফায়েল চালনা প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এ প্রশিক্ষন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

রাফালে মূলত ৪.৫ প্রজন্মের একটি যুদ্ধবিমান। রাফালেকে বিশ্বের অন্যতম সফল ও অনুপম মানের একটি বিমান বলে গন্য করা হয়। কারণ রাফালে এমন একটি বিমান যাকে একক কোনো উদ্দেশ্যে কোথাও পাঠানো হলেও একটি অভিযান দিয়েই বিমানটি দিয়ে আরো বেশ কিছু কাজও চালিয়ে নেয়া যায়। বহুবিধ কাজ করার ক্ষেত্রে রাফালে বিমানের পারদর্শিতা অন্য যেকোনো সাধারণ যুদ্ধবিমানের তুলনায় ঈর্ষনীয়।যদিও ভারত ২০১৬ সালে ফ্রান্সের কাছে ৩৬টি রাফালে বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছিল, তবে ভারতের মতো বিশাল বাহিনীর জন্য এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল।

ভারতের বিমান বাহিনীর পক্ষে ৪২টি স্কোয়াড্রন খোলার অনুমতি রয়েছে যদিও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে মাত্র ৩১টি স্কোয়াড্রন কার্যকর রয়েছে। ভারত অবশ্য একইসাথে মধ্যম মানের যুদ্ধবিমান কমব্যাট এয়ারক্রাফট এমএমআরসিএ টু পয়েন্ট জিরো মডেলের ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। তবে, রাফালে কেনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এ মডেলের বিমান কেনার প্রক্রিয়াও একটু ধীরগতিতে এগুচ্ছে।

সম্প্রতি দ্য প্রিন্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এমএমআরসিএ যুদ্ধবিমান কেনার টেন্ডার ঘোষণা করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পাারে। বর্তমানে ভারতের নীতি নির্ধারকেরা ৮৩টি এলসিএ টেজাস এমকে ওয়ানএ কেনার বিষয়েও তৎপরতা শুরু করেছেন। আর এগুলোর মাঝ দিয়ে ৩৬টি রাফালে কেনার পুরনো চুক্তির আলোকে ভারত নিয়মিতভাবে রাফালেও পেতে শুরু করেছে।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে