কাতারের সাহস ও আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের ভয়

কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি - দ্যা গার্ডিয়ান

  • আলফাজ আনাম
  • ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ইসরাইলের সাথে পুরোমাত্রায় কূটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপন করলো বাহরাইন। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতিতে ইসরাইলের সাথে কথিত শান্তিচুক্তি করেছে এই দুই দেশ। যাদের উপলক্ষ্য করে শান্তি চুক্তি সেই ফিলিস্তিনিরা এই চুক্তি প্রত্যাখান করেছে।

ছোট আরব দেশ দুটি যখন ইসরাইলের সাথে দোস্তির ঘোষণা দিয়েছে তখন আরেকটি আরব দেশ ফিলিস্তিনিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্য জানিয়ে দিয়েছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া ইসরাইলের সাথে সর্ম্পক স্বাভাবিক করবে না। এই দেশটি হচ্ছে কাতার।

একই সময়ে আরেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটছে কাতারের রাজধানী দোহায়। এই দেশটির মধ্যস্থতায় তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনায় বসেছে আফগান সরকার। যে আলোচনার লক্ষ্য দেশটির রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নির্ধারন করে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্টা করা। যার মধ্যদিয়ে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসতে যাচ্ছে। উপসাগরীয় ছোট এই দেশটি তথাকথিত একটি শান্তি আলোচনা প্রত্যাখান করেছে। অন্যদিকে আরেকটি শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করছে। আজ আমরা দুটি শান্তি আলোচনা ও কাতারের ভূমিকার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রথমে জেনে নেই, আমিরাত ও বাহরাইনের সাথে ইসরাইলের শান্তিচুক্তির ব্যাপারে কাতার কেন ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে। আর এতে দেশটির ঝুঁকিই বা কতটুকু।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন যখন ইসরাইলের সাথে সর্ম্পক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়ে কথিত শান্তিচুক্তি করেছে। তখন কাতার বলছে, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতের কোন সমাধান হতে পারে না। উপসাগরীয় এই দেশটি খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের যে পদক্ষেপ তাতে যোগ দেবে না কাতার।

ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আমরা মনে করি না যে, সম্পর্ক স্বাভাবিক করাই এই সঙ্কটের মূল বিষয় এবং এটি এই সঙ্ঘাতের কোন সমাধানও নয়। এই সঙ্ঘাতে মূল বিষয় হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তি, যারা আজো কোন দেশ পায়নি, বসবাস করছে ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদষ্টো ও জামাতা জ্যারডে কুশনার কাতার সফর করেন। তিনি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে বৈঠক করেন। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই বঠৈকে কাতারের আমির জানান, তার দেশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চায়, যেখানে ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।
তিনি আরো জানান ২০০২ সালে নেওয়া আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি এখনও প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। ওই উদ্যোগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে ১৯৬৭ সালের আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়। দখল করা পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের সব এলাকা থেকে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং সেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র কাতারের এই অবস্থানের সাথে মিল আছে তুরস্ক ও ইরানের। এই ঘোষণায় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় দেশগুলো যে কাতারের ওপর আরেক দফা ক্ষুদ্ধ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের চোখে কাতার এখন তুরস্কের মতোই শত্রæদেশ। ২০১৭ সালের ৫ জুন হঠাৎ করেই কাতারের সাথে ক‚টনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে এসব দেশ।
পরবর্তীতে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য এসব দেশ কাতারকে ১৩টি শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিলো আলজাজিরা চ্যানেল বন্ধ করা, কাতারে তুরস্কের সামারিক ঘাঁটি বন্ধ করা, ইরানের সাথে সম্পর্ক কমিয়ে আনা এবং মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কিন্তু এসব শর্ত মানতে রাজি হয়নি কাতার। বরং তুরস্ক ও ইরানের সহযোগিতায় অবরোধ মোকাবেলা করে ভালোভাবেই টিকে আছে কাতার।

এরমধ্যে তুরস্কের সাথে আরো ঘনিষ্টতা বাড়িয়েছে কাতার। দেশটিতে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে। লিবিয়ায় দুদেশ এক সাথে কাজ করছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতারা কাতারে অবস্থান করছেন। মুসলিম দেশগুলোর একটি বিকল্প প্লাটফর্ম গড়ে তোলার পেছনেও রয়েছে কাতারের ভুমিকা। আবার ইরানের সাথে কূটনৈতিক সর্ম্পক বজায় রেখে চলছে দোহা। দুদেশের সমুদ্রসীমায় একটি তেলক্ষেত্র থেকে কোনো বিরোধ ছাড়াই শান্তিপূর্ন ভাবে তেল উত্তোলন করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফিলিস্তিন প্রশ্নে কাতারের এই অবস্থান সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোকে আরো অস্বস্তিতে ফেলবে। কাতারের ওপর নানা ভাবে চাপপ্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। কারন ওয়াশিংটনে রয়েছে কাতারের শক্তিশালী লবিস্ট। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন জানিয়ে দিয়েছে, কাতারের ওপর অবরোধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

তুরস্কের সাথে কাতারের সর্ম্পক ছিন্ন করা অসম্ভব। কারন এরদোয়ানের ঘনিষ্ট মিত্র হিসাবে তামিম আল থানি তার অবস্থান অনেক আগেই স্পষ্ট করেছেন। কাতারে অভিযান চালিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সৌদি পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছিলো তুরস্ক। এরপর কাতারের আমন্ত্রনে তুরস্ক সামরিক ঘাটি স্থাপন করে। বাস্তবতা হচ্ছে এরদোয়ান ও তামিমের ভাগ্য এক সুতোয় গাথা। এখন পর্যন্ত কাতার অন্য আরব দেশগুলোর চাইতে সফল কূটনৈতিক দক্ষতা দেখাতে পেরেছে। আরব আমিরাত ও বাহরাইনের ইসরাইল প্রীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখে আরব বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসেছে উপসাগরীয় ছোটো এই দেশটি।

কাতারের রাজধানী দোহায় চলছে আফগান শান্তি আলোচনা। আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে এই আলোচনার প্রধান এজেন্ডা হচ্ছে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নির্ধারন করা। খোলাখুলি ভাবে বললে, কিভাবে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসবে তার কৌশল ঠিক করা। একই সাথে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান নির্ধারন করা। আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে এই বৈঠকের আগে তালেবানদের সাথে চুক্তিতে আসতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। যার অন্যতম শর্ত ছিলো তালেবান বন্দীদের মুক্তি ও আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার। ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস হচ্ছে গুয়ান্তনামো বে কারাগারে ১২ বছর আটক থাকা তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ নবী ওমরীর মতো তালেবান নেতারা এখন শান্তি আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথেও আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা ও রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ ভবিষ্যতে উপমহাদেশের আঞ্চলিক রাজনীতিকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আফগান শান্তি আলোচনরা সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে পাকিস্তান। তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী ইসলামাবাদ। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভুমিকা ও গুরত্ব স্বীকার করেছে। ১৯৯৬ সালে তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহনের পর যে তিনটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিলো পাকিস্তান ছিলো তার একটি।

অপরদিকে কৌশলগত দিক দিয়ে আফগানিস্তানের রাজনীতির সাথে নানা ভাবে জড়িয়ে আছে ভারত। কাবুলে আবার তালেবানদের ফিরে আসা ভারতের জন্য সুখকর নয়। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যহারের পর যে শূন্যতা তৈরি হবে তাকে ভারত দেখছে ভয়ের চোখে। এছাড়া রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তালেবানদের উন্থানের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের ভুমিকা। ফলে তালেবানদের ওপর রয়েছে পাকিস্তানের অপরিসীম প্রভাব।

ভারত মনে করে আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতায় আসার অর্থ হচ্ছে দেশটিতে পাকিস্তানের প্রভাব আরো বেড়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের আফগান ত্যাগের পর তালেবানদের ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনাকে ভারত দেখছে নিরাপত্তার জন্য বড় আকারের হুমকি হিসাবে। এই শান্তি আলোচনার ফল অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে আসুন জেনে নেই তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন:

তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে এই আলোচনায় আফগান সরকারের প্রধান প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ যুদ্ধ বিরতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে প্রাণহানি বন্ধে উভয় পক্ষকেই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কয়েক দশক ধরে চলা এ যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই।

তালেবানদের ডেপুটি লিডার আবদুল গনি বারাদার আশা প্রকাশ করেন, সমঝোতার বিষয়টি ‘ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আফগানিস্তানকে তালেবানরা কিভাবে দেখতে চান তাও তিনি স্পষ্ট করেন। বারদার বলেন, ‘স্বাধীন, একত্রিত ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থার অধীনে আমরা আফগানিস্তানকে দেখতে চাই। যেখানে সমস্ত জাতি-গোত্রের মানুষ বৈষম্যহীন বাস্তবতায় বসবাস করবে। এই আলোচনা যে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সে কথা মনে করিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনায় ভারতের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দু দেশই আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাইছে। তালেবানরা ক্ষমতায় আসলে পাকিস্তান যে সুবিধাজনক স্থানে থাকবে তা খুবই স্পষ্ট। আর ভারতের ভয় এখানেই। প্রথম দিকে ভারত তালেবানদের সাথে সর্ম্পক রাখার বিরোধী ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে তালেবানদের সাথে যোগাযোগের একটা পথ খুলতে চাইছে।

পাকিস্তানের অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, আফগান গোয়েন্দাদের একটি অংশের সাথে যোগসাজশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে, বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করছে। পাকিস্তান এই অবস্থার পরিবর্তন চায়। তারা চায় এমন একটি সরকার কাবুলে ক্ষমতায় থাকবে যাদের সঙ্গে ভারতের চেয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেশি হবে।

মুখে যাই বলুক না কেন, আফগানিস্তানে আবারও একটি তালেবান সরকার এবং তাদের নেতৃত্বে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দিল্লির মোদি সরকারে কাছে একটি দু:স্বপ্ন। অনেক ভারতীয় বিশ্লেষক মনে করেন তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসা হবে ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

আফগানিস্তানে প্রভাব বাড়াতে দেশটির অর্থনীতি, নিরাপত্তা, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে যে বিনিয়োগ করেছে তা গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে ভারত নিয়ে তালেবানরা কখনো আগ্রহী হয়ে উঠবে না। বরং কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন তাদের মাঝে ভারত সর্ম্পকে নেতিবাচক ধারনা বদ্ধমুল করতে পারে।

ভারতের জন্য আরেকটি মাথাব্যাথার কারন হচ্ছে আফগানিস্তানের চীনের বিনিয়োগ ও অংশগ্রহন বাড়ছে। তালেবান নেতারা বেইজিং সফর করেছেন। চীন সম্প্রতি আফগানিস্তানের তামা এবং লোহার খনিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। চীন ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করবে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এক সময় ইরানের সাথে ভারতের ঘনিষ্টতা ছিলো। ভারতের আফগান নীতিতে ইরানের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইরানের সাথে চীনের কৌশলগত সর্ম্পক তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তান ও মধ্যএশিয়াকে ঘিরে ইরানের চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করেছিলো ভারত। এখন সে বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে। অপরদিকে ইরানের সাথে পাকিস্তানের সর্ম্পক ঘনিষ্ট হচ্ছে। আফগানিস্তান ঘিরে পাকিস্তান , চীন ও ইরানের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হলে কাবুলে ভারতের প্রভাব আরো কমে আসবে।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে