এরদোয়ানের উসমানীয় সাম্রাজ্যে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন

বিরোধী দলের একটা বড় অংশও এরদোয়ানের এ স্ট্র্যাটেজির সমর্থক - ইন্টারনেট

  • হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী
  • ০৭ জুলাই ২০২০, ১৬:০৭

তুরস্ক একসময় ছিল ওসমানীয় সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল। ১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে, বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকাজুড়ে, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহ বিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। এ সাম্রাজ্যই ছিল শেষ খিলাফত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা বিশ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। ১৯২৪ সালে এ ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। কিন্তু তুরস্ক কী ইতিহাসের সেই সময়ে ফিরে যাচ্ছে। আজ আমরা জানাবো সেই বিশ্লেষণ।

প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়েব এরদোয়ানের বর্তমান ইসলামপন্থী সরকার নিজেদেরকে তুরস্কের সেই হারানো খিলাফতব্যবস্থার উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশটি লিবিয়া থেকে সাইপ্রাস পর্যন্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে এবং ত্রিপলি থেকে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ পর্যন্ত সৈন্য পাঠিয়ে সেই স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে বলেই ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেননা, আধুনিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে তুরস্ককে আগে কখনও দেখা যায়নি।

তুরস্কের এ সুপ্ত স্বপ্নকে বলা হচ্ছে ''নিও-অটোমানিজম'', যার সাথে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন দেশ জয়ের অনেক ঐতিহাসিক কাহিনী। সে-কাহিনী স্মরণ করে তুরস্কের গোপন কোনো অভিলাষ আছে কি না ভেবে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এর ছোট-ছোট প্রতিবেশী দেশ গ্রীস, সাইপ্রাস ও লিবিয়ায়।

প্রায় শতবর্ষব্যাপী বিদ্যমান বিভিন্ন চুক্তি ও সীমানাকে এখন চ্যালেঞ্জ করছে তুরস্কের সরকার। এর মাধ্যমে তারা ওই অঞ্চলের কর্তৃত্বের আসনে বসার আশা করছে। এটা করতে গিয়ে তারা ন্যাটো জোট এবং ওই অঞ্চলে পশ্চিমা কর্তৃত্বের অবসানের পাশাপাশি একটি নতুন, বহুমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার অভ্যুদয়কে ত্বরান্বিত করতে চাচ্ছে, যে ব্যবস্থার সাথে ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে অনেক রকম অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি।

তুরস্কের এ উচ্চাভিলাষ সবচাইতে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায়। এ এলাকাটি কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখান দিয়েই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার মধ্যেকার বাণিজ্যের বেশিরভাগ সম্পন্ন হয়ে থাকে।

নিজেদের এ অভিলাষ নিয়ে কোনো রকম রাখঢাকও করে না তুরস্ক। যেমন, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে লিবিয়ার সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে একটি নতুন চুক্তি করে তুরস্ক। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গ্রীস। তারা চুক্তিটির নিন্দা করে বলে, তুরস্ক তার 'সম্প্রসারণবাদী লক্ষ্য' হাসিলের জন্য আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। জবাবে ইস্তাম্বুলে দলীয় কর্মীদের এক সভায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাফ বলে দেন, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আইনের আওতায় থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় তুরস্ক শেষ পর্যন্ত তার অধিকার চর্চা করে যাবে।

সাইপ্রাস নিজের বলে দাবি করে, ভূমধ্যসাগরের জলভাগে এমন একটি এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে তুরস্ক খননকাজ শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয় দেশটি। বলে, তুরস্ক হচ্ছে একটি 'দস্যু দেশ।' তারা এখানকার একটি ক্ষমতাশালী দেশ। তাই ক্ষমতার বলে যা মন চায় তা-ই করছে।

একসময় এ এলাকার পুলিসী দায়িত্ব পালন করতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মধপ্রাচ্য ও ইউরোপে এমন দায়িত্ব পালন থেকে ক্রমেই পিছিয়ে আসছে দেশটি। সে-কথা মনে করে সাইপ্রাস আরও বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়ার ফলে এ এলাকায় যে 'পাওয়ার ভ্যাকুয়াম' সৃষ্টি হয়েছে, তা ক্রমেই বাড়ছে। মনে হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে আমাদের জন্য আরও উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা অপেক্ষা করছে।

তুরস্ক এবং তার চারপাশের ছোট-ছোট দেশগুলোকে নিয়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের প্রধান জলসীমার প্রান্ত এখন তিনটি। প্রথমটি হচ্ছে এজিয়ান সাগর। এখানে আছে তুরস্কের বেশকিছু দ্বীপ, যেগুলো তুরস্কের আনাতোলিয়া উপকূলের মাত্র কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত। এ এলাকায় কার নৌসীমা কত দূর, তা নিয়ে তুরস্ক ও গ্রীস কখনওই একমত হতে পারেনি। গ্রীস দাবি করে, জাতিসংঘ সমুদ্রসীমা কনভেনশন বা আনক্লস অনুযায়ী তার দ্বীপমালা যেখানে অবস্থিত তার পর থেকেই সমুদ্রসীমার আওতা শুরু হবে।

গ্রীসের এ যুক্তি মানতে রাজি হয় না তুরস্ক। তারা বলে, এর মানে তো হলো ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে যেসব জাহাজ তুরস্কের ইজমির কিংবা ইস্তাম্বুলে যাবে, সেগুলোকে অবশ্যই গ্রীক জলসীমা অতিক্রম করে যেতে হবে। এতে তুরস্কের সামুদ্রিক জাহাজ চলাচলের ওপর গ্রীসের বিশাল নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এ এলাকা পরিচালনায় সম্পাদিত চুক্তিগুলোয় তুরস্কের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তুরস্ক এর অবসান চায়, নিজের অধিকারটা রক্ষা করতে চায়।

এভাবে তুরস্ক এজিয়ান সাগরের ওপর গ্রীসের কর্তৃত্ব মানতে অস্বীকার করতে থাকলে আতঙ্কিত হয় গ্রীস। তাদের ভয়, এই বৃহৎ প্রতিবেশী একসময় তার কর্তৃত্বের আওতা গ্রীসের উঠান পর্যন্ত নিয়ে আসবে।

ওই অঞ্চলের দ্বিতীয় মেরিটাইম ফ্ল্যাশপয়েন্ট, দ্বিধাবিভক্ত সাইপ্রাস দ্বীপ নিয়েও একই যুক্তি দেখায় তুরস্ক। তারা গ্রীক সাইপ্রিয়ট-নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের চারপাশ ঘিরে গড়ে তোলা ২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এক্সক্লূসিভ ইকনমিক জোনকে মেনে নিতে রাজি নয়। তার বদলে তারা তুর্কি সাইপ্রিয়ট-নিয়ন্ত্রিত উত্তর সাইপ্রাসের পাশে নিজের এক্সক্লূসিভ ইকনমিক জোনকেই কেবল মানতে রাজি।

গ্রীক সাইপ্রিয়ট-নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের দাবিকৃত জলসীমায় বিদেশি কম্পানিগুলো প্রাকৃতিক গ্যাস আবিস্কারের পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে এ বিরোধ চলে আসছে। ফলে এ সম্পদ আহরণ এখন বিরোধের জালে আটকা পড়েছে।

গ্রীক সাইপ্রিয়ট-নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র বলে, গ্যাস থেকে পাওয়া রাজস্ব দ্বীপের তুর্কি ও গ্রীক সাইপ্রিয়ট কমিউনিটির মাঝে বণ্টন করে দেয়া পারে, তবে তার আগে বিভক্ত দুই দ্বীপকে একীভূত হতে হবে। জবাবে তুরস্ক বলে, গ্যাস বিক্রির লভ্যাংশ এখনই ভাগ করে দেয়া হোক।

২০১৭ সালে দ্বীপের দু' অংশকে এক করার উদ্যোগ নিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু উত্তর সাইপ্রাসে মোতায়েন থাকা প্রায় ৩০ হাজার তুর্কি সৈন্য প্রত্যাহার এবং দ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে হস্তক্ষেপের তুরস্কের বর্তমান ক্ষমতা প্রশ্নে মতৈক্য না-হওয়ায় উদ্যোগটি ভেস্তে যায়।

গ্রীক সাইপ্রিয়ট-নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র যেসব অফশোর বøক কয়েকটি আন্তর্জাতিক কম্পানিকে ইজারা দিয়েছিল, তুরস্ক পরে সেখানেই একাধিক গবেষণা ও খননকারী জাহাজ পাঠায়। সেগুলোকে পাহারা দিতে সাথে যায় কিছু যুদ্ধজাহাজও।

ওই অঞ্চলের তৃতীয় মেরিটাইম ফ্ল্যাশপয়েন্ট হলো লিবিয়ার পূর্ব উপকূল, যেখানকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই চলছে জাতিসংঘ-স্বীকৃত ত্রিপলি সরকার ও যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীর মধ্যে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ত্রিপলি সরকার ও তুরস্কের মধ্যে এক চুক্তি হয়। চুক্তিতে উভয় পক্ষ নতুন সমুদ্রসীমা নিয়ে একমত হয়। এতে তুরস্কের দক্ষিণ উপকূল থেকে লিবিয়ার পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ স্বীকার করে নেয় লিবিয়া। এ বিশাল তুর্কি জোন গ্রিসের ক্রিট ও সাইপ্রাসকেও ছেদ করে যায়। একইসাথে হয় একটি নিরাপত্তা চুক্তিও, যার অধীনে ত্রিপলি সরকারকে সামরিক সহায়তা দেবে তুরস্ক।

এ জোনটি এমন জায়গায় অবস্থিত, যেখান দিয়ে পরিকল্পিত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস পাইপলাইন যাওয়ার কথা রয়েছে। গ্রীস, সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র, মিশর ও ইসরাইলের পরিকল্পিত এ পাইপলাইন দিয়ে সাইপ্রাসের উপকূলে আবিষ্কৃত গ্যাস ইউরোপে যাওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী ইসরাইল ও মিশরের গ্যাসও রফতানি হবে। প্রকল্পটিতে তাই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মদদ রয়েছে।

এরদোয়ান যদি ভোটে হেরে গিয়ে ক্ষমতাছাড়াও হন, তাহলেও তুর্কি জাতীয়তাবাদী 'মাবি বাতান' ভাবধারার অবসান ঘটবে না
এরদোয়ান যদি ভোটে হেরে গিয়ে ক্ষমতাছাড়াও হন, তাহলেও তুর্কি জাতীয়তাবাদী 'মাবি বাতান' ভাবধারার অবসান ঘটবে না

 

গ্রীস, সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র, মিশর, স্পেন ও ইসরাইল যখন তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্রসীমা চুক্তির নিন্দায় মুখর এবং বলছে, এ চুক্তি হেগ-এর আন্তর্জাতিক আদালতে তোলা উচিত, তুরস্ক তখন চুক্তিটিকে দেখছে একটি অস্ত্র হিসেবে, যা দিয়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস পাইপলাইন অচলও করে দেয়া যাবে। তাদের এ ধারণা কতটা বাস্তবসম্মত, তা এখনও স্বীকৃত না-হলেও ঝুঁকি যে রয়েছে, এটা কিন্তু ঠিক।

তুরস্ক ঘোষণা দিয়েছে যে, তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্রসীমা চুক্তিতে সম্মত জলসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করতে তারা আগ্রহী। এ ঘোষণায় উদ্বিগ্ন গ্রীস বলেছে, মনে হচ্ছে তারা ক্রিট দ্বীপের কাছাকাছিও গ্যাস অনুসন্ধান করবে। সেক্ষত্রে দু' দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।

তুরস্কের এ তৎপরতাকে অভিহিত করা হচ্ছে 'মাবি বাতান' বা 'সবুজ স্বদেশভূমি' নামে, যাতে লুকিয়ে আছে পূর্ব ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় ওসমানীয় শাসনামলের মতো তুরস্কের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন।

তুরস্কের উপকূল প্লাবিত করে যাওয়া তিন সমুদ্র এলাকায় তুর্কি প্রভাব পূণঃপ্রতিষ্ঠার ধারণাটি ২০০৬ সালে প্রথম প্রকাশ করেন আডমিরাল চেম গুরসেনিজ। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখন সেটি পুনরুজ্জীবিত করেছেন। তাঁর দল একেপি এমনিতেই ইসলামপন্থী এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, তার ওপর ২০১৫ সাল থেকে তাদের সাথে জোট বেঁধেছে ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টি বা এমএইচপি দল। এ দলটি সামরিক শ্রেষ্ঠত্ববাদী তুর্কি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।
তুরস্কের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, শুধু সরকার নয়, বিরোধী দলের একটা বড় অংশও এরদোয়ানের এ স্ট্র্যাটেজির সমর্থক। এ ইস্যুতে প্রায় -সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে পেরেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

'মাবি বাতান' বা 'সবুজ স্বদেশভূমি' ধারণাটি এমন একসময় পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, যখন তুরস্কের অর্থনীতি অবনতিশীল এবং এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে তাঁর দল ইস্তাম্বুল ও আংকারায় হেরে গেছে। এমন অবস্থায় দেশে জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়ার কাজে 'মাবি বাতান' ভাবধারা এরদোয়ানকে বেশ সহায়তা করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনেকে এমনও মনে করেন, এরদোয়ান যদি ভোটে হেরে গিয়ে ক্ষমতাছাড়াও হন, তাহলেও তুর্কি জাতীয়তাবাদী 'মাবি বাতান' ভাবধারার অবসান ঘটবে না। এখন দেখার পালা, ঘরে-বাইরের নানা বাধা পেরিয়ে এরদোয়ানের তুরস্ক 'মাবি বাতান' কতোটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে